রাজা
আরব দেশগুলোতে সাধারণতঃ আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সীর মাধ্যমে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়। এই ব্যাপারে রিক্রুটিং এজেন্সী গুলো নিজেদের এবং অন্যান্য শ্রমিক রপ্তানীকারক দেশ গুলোর রিক্রুটিং এজেন্সীর সাথে তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। যার ফলে তাদের ম্যধ্যে কম পারিশ্রমিকে শ্রমিক নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা সব সময় কাজ করে।
শোষনঃ ১
কোন কোম্পানী হয়তো একটা কন্ট্রাক্ট পেল যেখানে ১০০০ শ্রমিক প্রয়োজন। তারা তাদের ইমিগ্রেশনে ১০০০ ভিসা আবেদন করবে।
ইমিগ্রেশন এই ১০০০ ভিসা কে বিভিন্ন দেশের জন্য ভাগ করে দেবে। সাধারণত লেবার ভিসা গুলি এক অলিখিত নিয়ম অনুসারে আমারদের দেশের জন্যই বরাদ্দ দেওয়া হতো। ভিসা পাওয়ার পর তারা এই ভিসাগুলোকে একটি বা দুটি রিক্রুটিং এজেন্সীকে এই শ্রমিক নিয়োগ করার অনুমতি দেবে। এই ভিসা প্রোসেসিং থেকে শুরু করে বিমানভাড়া সহ সমুদয় খরচ ঐ কোম্পানীর বহন করার কথা।
এইখানে বলে রাখা ভাল আমাদের দেশের রিক্রুটিং এজেন্সীর লোক সব সময় খোজ রাখতে থাকে কখন কোথায় ভিসা বের হচ্ছে খবর পাওয়ার পর সাথে সাথে তারা লবিং শুরু করে কাজ পাওয়ার জন্য।
এই ক্ষেত্রে প্রতিটি ভিসার দাম যেখানে প্রায় ৪০০০০ টাকা হয় তা তারা প্রায় ৮০০০০ থেকে ১০০০০০ টাকা কখনও কখনও আরও বেশী দামে কোম্পানীর কাছ থেকে কিনে ফেলে এবং এই টাকা দিয়েই কোম্পানীগুলো শ্রমিকের পুরা কন্ট্রাক্ট (সাধারণত ২ বছর বা ৩ বছর) এর বেতন দিতে পারে।
অনেকটা বিনা পয়সায় লোক পাওয়া এই সুযোগ কোম্পানী নষ্ট করার কথা না কারণ আমাদের দেশ থেকে না গেলেও অন্য দেশ থেকে লোক আসবে।
তারপর এই রিক্রুটিং এজেন্ট যদি নিজে এর রয়েছে বিভিন্ন সাব এজেন্ট । তাদের তারা একটা নিদৃষ্ট রেট ফিক্স করে দেয় তার উপর যা আদায় করতে পারে তা তাদের লাভ। এই লাভের আশায় সাব এজেন্টরা বিভিন্ন মিথ্যা সুযোগ সুবিধার কথা বলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক নিয়ে আসে।
এই ক্ষেত্রে একজন লোকের আসতে প্রায় ২০০০০০ টাকা থেকে ২৫০০০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়।
এইভাবেই শোষিত হয় আমাদের দেশের কোন এক স্বপ্নবাজ যুবক।
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।