রাজা
কামলা ,আপনাদের মধ্যে অনেকে হবেন বা আছেন কিংবা বাংলাদেশের অনেকে কামলা হইবার ইচ্ছা মনের মধ্যে পোষন করেন। তাহাদের জ্ঞাতার্থে -
কামলা হইবার যোগ্যতাঃ
মজুর বা লেবার বা পরিচ্ছন্নতা কর্মী এর ক্ষেত্রেঃ-
শিক্ষাগত যোগ্যতা - প্রয়োজন নাই
ইংরেজী জ্ঞান - দরকার নাই বা থাকিলে কোন কাজে আসিবে না
আরবী ভাষায় জ্ঞান- থাকিলে ভাল বা না থাকিলে ঠেকায় পড়িয়া শিখিয়া নিতে হইবে।
স্বাক্ষর জ্ঞান - থাকার আবশ্যকতা নাই তবে কাগজে পত্রে অষ্টম শ্রেনী পাস হইতে হইবে। (বাংলাদেশে যেমন হয়)
শারীরিক যোগ্যতা - ইহা অতীব আবশ্যকীয় বিষয়। ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী হইতে হইবে।
কারণ স্বাস্থ্যই অধিক রেমিটেন্স পাঠাবার মূল নিয়ামক।
অন্যান্য চাকুরীর ক্ষেত্রেঃ কোম্পনীর চাহিদা অনুযায়ী। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে সার্টিফিকেট এর সাথে সাথে ব্যবহারিক অবশ্য জানতে হবে।
কামলা হইবার পদ্ধতিঃ
১) প্রথমেই আপনাকে পাসপোর্ট বানাতে হবে। পাসপোর্ট বানানোর পদ্ধতি আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে।
পাসপোর্ট অফিসে যান দেখুন জানুন সব নিয়ম কানুন (এক নম্বর দুই নম্বর) । ফরম ফিলাপ করে জমা দিন পরবর্তী পদক্ষেপগুলি সতর্কতার সহিত সম্পাদন করুণ (যেখানে যা প্রয়োজন তাই করিতে হইবে)। নিয়ে নিন আপনার সাধের এবং মূল্যবান পাসপোর্ট।
২) দ্বিতীয়তঃ আপনাকে একজন বিশ্বস্ত আদম বেপারী ধরিতে হইবে। যে কিনা আপনাকে সর্বসান্ত করিবে না।
এইজন্য গুলশান, বনানী ও ফকিরাপুল এসমস্ত জায়গায় রিক্রুটিং এজেন্সীতে যোগাযোগ করুন। এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের দালাল দেখিতে পাইবেন (এজেন্ট, সাবএজেন্ট এবং ভুয়া দালাল)। এজেন্টরা রিক্রুটিং এজেন্সীর মনোনীত ব্যক্তি তাদের সাথে লেনদেন করা অনেকটা ঝামেলামুক্ত, সাব এজেন্ট এরা এজেন্ট এর মাধ্যমে লোক বিদেশ পাঠায় এক্ষেত্রে আপনাকে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা বেশী দিতে হবে আর যদি ভুয়া দালালের সঙ্গে আপনার সাক্ষাত হয় যায় তা হলে আপনার বিদেশ যাবার সাধ আশায় গুড়েবালি এবং আপনার সর্বসান্ত হইবারও সমূহ সম্ভাবনা।
৩) তৃতীয় বিষয়টি হইতেছে আপনার কোম্পনী নির্বাচন, আপনি রিক্রুটিং এজেন্সীতে গেলেই অনেক কোম্পানী চাকুরীর বিজ্ঞাপন দেখতে পাবেন (কিছু সত্য আর কিছু মিথ্যা) এই ক্ষেত্রে আপনি ইন্টারনেটের সাহায্য নিতে পারেন । বেশীরভাগ কোম্পানী তাদের মনোনীত লোক (ডেলিগেট) বাংলাদেশে পাঠায় এবং তারা সরাসরি ইন্টারভিও এর মাধ্যমে লোক নিয়োগ করে।
এটাই সবচেয়ে উপযোগী পন্থা। আপনি ইন্টারভিও এর দিন হাজির হোন এবং নিজের যোগ্যতাবলে চাকুরী নিয়ে নিন। আপনি যদি (লেবার) এর জন্য আবেদনপ্রাথী হন তাহলে দালালের সাথে পূর্বালাপ আপনার চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করিবে ( অনেকটা মামা চাচার মত)।
৪) সিলেক্ট হবার পর যাওয়ার আগ পর্যন্ত এই সময়টা কিছুটা জটিল। কারণ আপনি এই সমেয়র মধ্যেই প্রতারিত হইতে পারেন।
সিলেক্ট হবার সঙ্গে সঙ্গে এজেন্ট বা দালাল আপনাকে মেডিকেল করার জন্য আপনাকে চাপ দিবে এই সঙ্গে (২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা )এডভান্স দিতে বলবে। ভয় নাই দিয়ে দিন। সাধারনত মেডিকেল করার সময় তারা কিছু বেশী লোক মেডিকেল করায় কারণ কোন কারণ শেষ মুহুর্তে কিছু লোক যেতে পারে না। মেডিকেল হওয়ার পর আপনার পাসপোর্ট জমা নিয়ে নিবে ভিসা লাগানোর জন্য। ভিসা কপি পেলেই বাকী টাকা পরিশোধ করুণ।
(এই সমস্ত প্রক্রিয়া এজেন্ট বা দালালের দ্বায়িত্বে করা হয়। )
৫) যাওয়ার আগের দিন বা যাওয়ার দিন আপনার হাতে পাসপোর্ট ও টিকেট দিয়ে দিবে। পাসপোর্ট টিকেট হাতে নিন এবং চলে আসুন কামলা খাটতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।