মরু, পর্বত আর তুষারের দীর্ঘ পথ অতিক্রমের পর খোকা একটা পথের সন্ধান পেল। পথই মানুষকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়।
খোকা বলল: নমষ্কার!
সামনে ছিল একটা ফুল বাগান তারা বলল: নমষ্কার!
খোকা দেখল, সব গুলি ফুল ঠিক খোকার ফুলটির মত দেখতে!
আপনারা কে? অবাক হয়ে খোকা জিজ্ঞেস করল।
আমরা গোলাপ। ফুল গুলি জবাব দিল।
তাই নাকি!
বলতে বলতে খোকার মনটা বিষাদে ভরে গেল। খোকার ফুলটা বলে ছিল, এজগৎ-তে তার মত আর কোন ফুল নেই। অথচ এখানে একটি মাত্র বাগানে তার মত হাজার পাঁচেক ফুল। এই অবস্থাটা নিজের চোখে দেখলে, আমার ফুলটি খুব লজ্জা পেত। আর এই লজ্জাস্কর ব্যাপারটা ধামাচাপা দেয়ার জন্য এমন ভাবে কাশত যেন তার প্রন উষ্ঠাগত।
এবং আমার এমন ভান করতে হত, যেন আমি তার ব্যাথার ব্যাথি হয়ে খুব সেবা করছি। নয়তো আমাকে শাস্তি দেয়ার জন্য হয়ত সত্যি সত্যি মরে যেত।
তার পর খোকা আপন মনে ভাবল: আমি নিজেকে খুব ধনী মনে করতাম। কারণ: আমার কাছে এমন একটা ফুল আছে,যা দুনিয়ার আর কারো কাছে নেই। আর এখন দেখছি, আমার ফুলটির মত ফুল এখানে যত্র তত্র অজস্র পরিমানে আছে।
আর আছে তিনটা আগ্নয়গিরি, যেগুলি আমার হাটু পর্যন্ত মাত্র উঁচু। তার আবার একটা মৃত, হয়ত অনন্ত কালের জন্য। এগুলি একজন রাজ কুমারের জন্য খুব হাস্যকর। দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে সে ঘাসের উপর বসে পড়ল।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।