আমার মৃত্যু যেন আমার সকল ইচ্ছা পূরণের পর হয়
শাহবাগের মোড় দিয়ে হেটে যাচ্ছি হঠাৎ করে কানে আসলো *****পুত। তাকিয়ে দেখি এক রিক্সাওয়ালা আরেক রিক্সাওয়ালাকে গালি দিচ্ছে। রীতিমত কিছু গালি আদান প্রদান হলো। আরেকটু হেটে যেতেই *****পোলা। ভদ্রলোকী লেবাসে এক লোক ফোনে গালি দিচ্ছে।
বন্ধুদের আড্ডায় যেতেই 'ওই *****পোলা এতো দেরী কেন? এরা হচ্ছে ঢাবির সেরা বিষয়ের সেরা ছাত্রগণ। পড়ালেখায় একদম সবার আগে কিন্তু গালি দিতে নিজের সেরা হয়াটা ভুলে যায়। তখন বস্তির লোকেদের মত আচরন করে। (বন্ধু হবার সৌভাগ্য! ঢাবির রেফারেন্স দিলাম, এতে কাউরো মনে আঘাত লাগলে আমি দু:খিত)
সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দা দিয়ে বাইরে চেয়ে আছি। কিছু বস্তির পুলাপান কুত্তার বাচ্ছা নিয়া বাঁদরামি করতাছিল, কুত্তায় আইয়া যখন বস্তির পুলাপানরে একটু সাল্টিং মানে ঘেউ ঘেউ করলো তখন বস্তির পুলাপান কুত্তারে কইলো ওই *****পুত চিল্লাস ক্যা?
বর্তমানে একটা ট্রেডিশন হইছে যে বন্ধুরা ফোন করলে বা দেখা হইলে দেখি গালাগালাজ দিয়া কথা শুরু করে।
ব্যাপারটা একটু খারাপ লাগতো শুরুতে পরে দেখলাম শুধু আমার বন্ধুরা ছাড়াও অন্যরাও একই অবস্থা।
ঝগড়া লাগলেতো কথাই নাই। এ ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো....
পঞ্ঝম শ্রেণীতে পড়ার সময় ঠাকুর স্যার তার ক্লাসে একটি কথা বলেছিলো। কথাটা আজো মনে পড়ে। তিনি সময়ের বির্বতনে গালিগালাজ নিয়ে একটা কথা বলছিলো।
এখনকার সময়ের গালিগালাজের ব্যাপারে তিনি তেমন কিছু বলতে চায়নি। শুধু বলেছেন এটা সবার আমার থেকে ভালো জানার কথা। কিন্তু উনাদের সময়ে মানে মান্দারদাত আমলে গালিগালাজ ছিলো এরকম
যেমন দুইবোন ঝগড়া লেগেছে, এক বোন আরেক বোন কে গালি দিচ্ছে
প্রথম বোন(দ্বিতীয় বোন কে): তুই একটা লতাপাতা!
দ্বিতীয় বোন (প্রথম বোন কে): তোকে এক গ্লাস গরম দুধ খাইয়ে দিবো!
এই যদি ছিলো গালিগালাজের অবস্থা তাহলে আমার মনেও আজ গালি দেবার সাধ জাগে
দুষ্ট কোথাকার;
তুই একটা আগুনের চুলা;
তুই ধান গাছের পোকা;
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।