আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টেনশন

যা চাই তা ভুল করে চাই, যা পাই তা চাইনা....
আর্থ-সামাজিক, মানসিক ও পরিবেশগত কারণেই টেনশন তৈরী হয়। টেনশন থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের রোগ, সেরিব্রাল স্ট্রোক, কিডনী রোগ প্রভৃতি হতে পারে। সারাক্ষণ টেনশনে থাকলে প্রথমেই এর প্রভাব পড়ে নর-নারীর স্বাভাবিক সম্পর্কের উপর। এছাড়া হাসিঠিট্টা, মজাকরা ইত্যাদিতে ভাটা পড়ে, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। টেনশনের ফলে মনের ভাবের আদান প্রদান তো হয়ই না, বরং যেটুকু কথাবার্তা হয় তারমধ্যেই মিশেথাকে উদ্বেগ, শন্কা ও বিরক্তি।

দিনের পর দিন এভাবে চললে সম্পর্কে ফাটল ধরে। ভাব বিনিময়ের অভাবে বহু তথ্যই অজানা থেকে যায়, ফলে ভুল বুঝাবুঝির অবকাশ থেকে যায়। সম্পর্কে ঘুণ ধরে। টেনশনের উপশম: টেনশনের উপশম দুভাবে হয় - টেনশনের কারণগুলিকে ধ্বংস করা ও বেশ কিছু সদভ্যাস গড়ে তোলা যা টেনশনকে অংকুরেই বিনস্ট করে দেবে। টেনশনের কারণগুলিকে ধ্বংস করা ১. সময়ের সদ্ব্যবহার- সুচিন্তিতভাবে পরিকল্পণা মাফিক কাজগুলোকে সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে।

সময় ভাগ করে আগের কাজ আগে করুন এবং রোজকার কাজ নির্দস্ট সময়ে করুন। কেন সময় নস্ট হচ্ছে ভাবুন ও প্রতিকার করুন। কাজ সবাইকে ভাগ করে দিন। কাজের ফাকে ফাকে বিশ্রাম নেয়ার অভ্যাস করুন। ২. নিয়ম মতো কাজ- যদি নিজেই একটা নিয়ম নিজের জন্য তৈরী করে নিয়ে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করা যায় তবে কাজগুলো সুচারুভাবে সম্পন্ন হয় ও টেনশন থাকেনা।

৩. বাস্তবতাকে মেনে নেয়া- যা ঘটতে পারে বা যা ঘটে গেছে তা নিয়ে অনেক সময় টেনশন হয়ে ওঠে সীমাহীন। এক্ষেত্রে টেনশন কমানোর সবচেয়ে বড় উপায় হল বাস্তবকে মেনে নেয়া। জীবনে বড় দুর্ঘটনা যা শারীরিক বা মানসিক দিক থেকে একেবারে ধ্বসিয়ে দেবে, তা খুব স্বাভাবিকভাবে মেনে নিয়ে মনে কোন টেনশন তৈরী হতে না দেয়া। এই ঘটনায় যারা খুব বেশী সহানুভূতি জানাতে চান তাদের খুব সাবলীলভাবেই থামিয়ে দিতে হয়। যাতে অতিরিক্ত সহানুভূতি মনে কোন বাড়তি টেনশন জন্ম দিতে না পারে।

বাস্তবকে মেনে নিয়ে বিপদের মুখোমুখি হয়ে তা জয় করার চেষ্টা করা উচিত। ৪. স্বাস্হ্যই সকল সুখের মূল- তাই স্বাস্হ্য ভাল করুন। নিয়মিত স্বাস্হ্য পরীক্ষা করে নিরোগ থাকলে অন্য বিষয়েও তার টেনশন কম হয়। ৫. খুলে বলা- কোন গোপন কষ্ট আপনজনের সাথে ভাগ করে নিন। কিছু না পাওয়া, ভুল বা অন্যায় করে ফেলার পাপবোধ, গোপন দু:খের ভার এই সবই মানুষের মনকে কন্টকিত করে।

এ থেকে মুক্তির উপায় হল কোন একজনকে সব খুলে বলা, তার সাথে ভাগ করে নেয়া সব গোপন কষ্ট। এভাবে জীবনে অনেক বয়ে যাওয়া ঝড়ঝাপ্টা সত্বেও স্বাভাবিক থাকা যায়। নিজের ভেতর কোন কথাই চেপে না রেখে কারো কাছে অকপটে সব কথা খুলে বলেও হালকা হতে পারেন। কিছু সদাভ্যস ১. রোজ দুবেলা গোসল করা। শাওয়ারের বর্ষণটা ঘাড়ের উপর নেয়া।

নানা রকম সুগন্ধী - সাবান, পাউডার, কোলন, পারফিউম ইত্যাদি ব্যবহার করুন। ২. সর্বদা মনকে প্রফুল্ল রাখুন। ৩. মানসিক চিন্তা থেকে উদ্ভুত টেনশন নির্মুল করার জন্য দরকার কায়িক পরিশ্রমের। ৪. জরুরী এপয়েন্টমেন্ট বা কথা ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকলে তা লিখে রাখুন। ৫. অনেক কাজের ভিড় থেকে একটু ছুটি নিয়ে বিশ্রাম নেয়া খুবই স্বাস্হ্যকর অভ্যাস।

৬. বেশী মসলাদার খাবার,চিনি ও নুন, ক্যাফিন ও নিকোটিন এড়িয়ে চলুন। ৭. রোজ কিছুক্ষণ ব্যায়াম ও যোগব্যায়াম করুন। ৮. অন্যের উপর ভরসা না করে নিজের কাজ নিজে করুন। ৯. অদৃষ্টের দোহাই দিয়ে নির্লিপ্ত থাকুন। 'যা ঘটেছে তা অদৃষ্টে ছিল' বা 'যা অদৃষ্টে আছে তা ঘটবেই' ভাবুন।

১০. বড় বড় গভীর শ্বাস নেয়ার অভ্যাস করুন। এটি টেনশন কমিয়ে দেয়। ১১. বছরে একবার ছুটিতে দুরে কোথাও বেড়াতে যান।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।