ইসলামের প্রতিষ্ঠা কিন্তু হত্যা করে নয়। মোহাম্মদ সঃ কে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। তাকে হত্যা করলে একশত উট পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে পাগল বলা হয়েছে। তাকে থুথু দেয়া হয়েছে।
গলা ধাক্কা দেয়া হয়েছে। তাকে বিষপ্রয়োগে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করতে হয়েছে। তায়েফের ময়দান রক্তাক্ত হতে হয়েছে। আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা পাঠিয়ে দিয়েছেন নবী চাইলে পুরো তায়েফ পাহাড়চাপা দিবেন।
নবী তায়েফ বাসীর ধ্বংস চান নাই। তাদের হেদায়েতের দোয়া করেছেন। ভারত বর্ষে ইসলাম প্রতিষ্ঠা মুহাম্মদ বিন কাসিম মাধ্যমে তিনি তায়েফ বাসী ছিলেন।
মজার কিচ্ছা খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ) ধর্ম প্রচারে ভারত বর্ষ আসেন। একদিন মসজিদের ইমাম রাতে ঘোষনা দিলেন আগামী কাল ফজরের নামায যারা জামাতের সাথে আমার সঙ্গে আদায় করবে তারা সকলেই বেহেশতে যাবে।
কিন্তু যে এই খবর প্রচার করবে সে জাহান্নামে যাবে। পরের দিন ফজর নামাজে দেখা গেল মসজিদ ভর্তি মানুষ। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেল একজন ব্যক্তি নিজে জাহান্নামে যাওয়ার ঝুকি নিয়ে সারারাত এ্ই খবর প্রকাশ করেছে। ইমাম সাহেব তাকে ভারত বর্ষে ধর্ম প্রচারের অনুরোধ করলেন। তার এক সফরে ৯০ লক্ষ লোক মুসলমান হয়।
ইনিই খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (রহ)। রাজা আর ব্রাহ্মন দ্বৈত অত্যাচারে তখন নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলো। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সাম্যের ধর্ম।
অস্ত্রবাজীতে যে সব দেশে ইসলাম ছড়িয়েছে সেখানে এখন ইসলাম নাই।
মসজিদ গুলো জাদুঘর হয়েছে। যেমন স্পেন। যেখানে দাওয়াতের মাধ্যমে ইসলামের বিস্তার সেখানে ইসলাম আজও টিকে আছে। যেমন ইন্দোনেশিয়া । সেখানে তিনজন সাহাবি দ্বীনের দাওয়াত নিয়ে যান।
তারা তাদের ভাষাও জানতেন না। তাদের আচার আচরনে মুগ্ধ হয়ে মুসলিম হয় ইন্দুনেশিয়ার মানুষ।
মোট কথা ইসলাম আঘাত করে না। তবে আঘাত এলে প্রতিঘাতে পিছ পা হয় না। দয়ার নবী ভালবাসা নিয়ে দ্বীনের প্রচার করেছেন।
আর আল্লাহ তায়ালাও অনেক ভালবাসেন মানুষকে। পবিত্র কোর আনের সকল মর্ম নাকি বিসমিল্লাহর বার নোক্তার মধ্যে নিহিত যার অর্থ মিলিয়ে দেয়া। মেলামেশা
মানুষের ছিফত আর বিভেদ শয়তানের কাজ।
বিভেদ সৃষ্টি করে এদেশের মানুষদের শোষন করতো বৃটিশরা। এখন দেশটা সেইরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
দেশের মানুষদের প্রাণের দাবী যুদ্ধাপরাধীর ফাসি। ব্লগাররা সেই প্রাণের দাবী বস্তবায়নে নেতৃত্ব দিচ্ছিলো। এর মধ্যে রাজনীতির প্রবেশ। আওয়ামীকরন করে আন্দোলন দূর্বল করার পায়তারা করছে আওয়ামী রাজনীতিবিদেরা। করেছেও।
মাঝখান থেকে নাস্তিক তকমা লাগলো ব্লগারদের। ইসলামী দলগুলো পাল্টা কর্মসূচী শুরু করলো। এমনকি আজকে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতিতে এক মসজিদের ইমাম ঘোষনা দিলেন আমরা আওয়ামীলীগ করতে পারি বিএনপি করতে পারি কিন্তু নাস্তিকদের অবস্থান সহ্য করবো না। এটা শুক্রবারের জুমার নামাযের বাংলা বয়ানের শেষ অংশ!
তার মানে দেশ দুইভাগ হলে শোষক শ্রেণীর সুবিধা। এর আগের শুক্রবারে জুড়ীতে, (মৌলভীবাজার) বদলী হয়ে আসা নতুন ওসি সাহেব ঘোষণা দিলেন কোথাও জঙ্গি তৎপরতা দেখা দিলে জানাতে।
দ্রুত একশন নিবেন সেকথাও জানালেন।
জঙ্গি হলো যারা ইসলামের নামে শ্লোগান দেয়। কিংবা ধরা যাক যারা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে শ্লোগান দেয়?সরকারের কসা্ই বাহিনী যারা প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে মোহরা দেয়। মানুষজন হত্যা করে গুম করে তারা কি?চাদাবাজী অস্ত্রবাজীতে সিদ্ধহস্ত তারা কি?
তাদের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত কি?দেশে জঙ্গিবাদ উসকে দেয়া কি অপরাধ নয়?এখন বিভেদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। কাদের সিদ্দীকি নাকি রাজাকার? আওয়ামীলীগ এখন মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকার বলার সাহস পায়।
আওয়ামীলীগ করলে রাজাকাররাও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়??শেখ হাসিনা অনেক বড় মুক্তিযোদ্ধা ?এত দেশ প্রেম থাকলে শিশু জয়কে রেখেই মুক্তিযুদ্ধ করতেন আফটার অল রাজমুক্তিযোদ্ধা যে ছুয়ে দিলে রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যান তার তো এমন ইতিহাস থাকাই স্বাভাবিক তাই নয় কি?
সহজ কথায় নোংরা রাজনীতিবিদদের থাবায় পরেছেন দেশ প্রেমিক ব্লগাররা। থাবা বাবার মৃত্যু হয়েছে।
জামাত শিবির রা শহীদ মিনার ভাঙে পতাকা পোড়ায় এহেন হীন কর্ম আওয়ামীলীগ করলেই বা অবিশ্বাস্য কি?তারা তো আমাদের বিজ্ঞ ব্লগারদের এন্টেনার নাগালের বাইরে? কিংবা কেউ কেউ সত্যিকার ভাবেই তাদের এসাইনমেন্ট বাস্তবায়ন করেন? প্রথম আলোতে তো তেমন ভাবেই রিপোর্ট করেছে।
সত্যের সন্ধান চাই । লেজুড়বিত্তির অবসান চাই।
সবাই মিলে সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় চাই। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। যে শ্লোগান বিভেদ আনে তার থেকে মুক্তি চাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।