ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........
মানব ইতিহাসের নানা বাঁকে বাঁকে অসংখ্য ধর্মের আবির্ভাব। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মাধ্যমে আল্লাহ যখন মানব জাতীর জন্য তার একমাত্র জীবন ব্যবস্থা ইসলাম কে পুর্নতা দান করেন,তার আগেই নানা বিকৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন নবীদের অনুসারীরা তাদের মৃত্যুর পর ভিন্ন পথে পরিচালিত হয়েছেন। তার সাথে আছে সনাতন বেশ কতগুলি ধর্ম। সেই সকল সনাতন ধর্ম মানুষ কে মুর্তি পুজা,প্রকৃতি পুজার দিকে ঠেলে দেয়। মানুষ যেমন নিজের তৈরী পাথরের মুর্তিকে স্রষ্টা ভেবে পুজা শুরু করে তেমনি,আকাশের সুর্য্য ,চন্দ্র এমন কি ঝর্না,নদী সহ নানা ভাবে প্রকৃতি পুজা আরম্ভ করে।
ইসলাম মানুষ কে সে পথ থেকে নিরাকার এক ঈশ্বর এর অনুগত্য করার মাধ্যমে আলোর পথে আনে। হযরত মুহাম্মদ(সাঃ) মক্কা জয়ের পর ভেঙ্গে ফেলেন কাবা ঘরে রাখা মুর্তি,যাদের মানুষ ঈশ্বর ভেবে পুজা করত। এখানে দেখার বিষয় নবী করিম কোন দিন অন্য ধর্মের মানুষে উপর ইসলাম কে চাপিয়ে দেন নি। তিনি জোর করে মানুষ কে ইসলামের দিকে আসতেও বলেন নি। কাবা ঘর মুসলমানদের পবিত্র স্থান,তাই তিনি সেটি পুনরদ্ধার করে তাতে স্থাপিত মুর্তি ভেঙ্গেছেন।
কেও কি দেখাতে পারবেন,আমাদের প্রিয় নবী কোন সনাতন ধর্মের উপাসানালয়ে গিয়ে তাদের মুর্তি ভেঙ্গেছেন?কিংবা গির্জাতে গিয়ে ঈসা(আঃ) এর মুর্তি ভেঙ্গেছেন?না তিনি তা করেন নি।
ইসলাম শ্রেষ্ঠ জীবন ব্যবস্থা যারা মানেন (আমি নিজেও মানি) তারা কি একবার প্রশ্ন করেন নিজে কে,তবে কেন মুসলমান রা দিন দিন পিছিয়ে যাচ্ছে?
আমার জবাব,মুসলমান্দের যারা নেত্রিত্ব দেন তারা ব্যক্তি স্বার্থ না হয় কোন দলীয় (সেটা বাংলাদেশ সহ সকল মুসলিম উম্মার জন্য প্রযোজ্য) স্বার্থে নিমগ্ন,আর আমরা ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা উপলব্ধি না করে,ইসলামের বাহ্যিক ও অলংকারীক দিক তথা আচার অনুষ্ঠানের দিকেই নজর দেই।
বিমান বন্দরে লালন ভাস্কর্য ভাঙ্গার প্রতিবাদে ও পক্ষে অনেক লেখা হয়েছে। পক্ষে যারা তাদের দাবি ইসলাম মুর্তি পুজা সমর্থন করে না তাই মুর্তি রাখা যাবে না!!!ভেঙ্গে ফেল তাই সব মুর্তি!!!
তবে সনাতন ধর্মে প্রকৃতি পুজা কি ইসলাম সমর্থন করে?হযরত (সাঃ) কি শুধু মুর্তি পুজার বিপক্ষে ছিলেন?না তা তো না। প্রকৃতি পুজাও তো ইসলামে নিষেধ।
তবে আকাশের ঐ সুর্য্য কে দেখলে আমাদের ঈমান নষ্ট হবে না?নদী নালা সাগর ভালো বাসলে ঈমান নষ্ট হবে না?তবে কি ভেঙ্গে ফেলব সব?জ্বালীয়ে দিব সব?
দয়া করে মক্কা বিজয় এর পর মুর্তি ভাঙ্গা ও হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর মুল শিক্ষা উপল্বধি করুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।