আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র

পাখি পর্ব চলছে

চলছে ঢাকার চারশো বছর (১৬০৮/১০-২০০৮/২০১০) উদযাপন। ঢাকার বয়স কত এই নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন চারশো আবার কেউ দাবী করেন ছয়শো বা তারো বেশি। যাইহোক, ঢাকার চারশো বছর উদযাপন চলছে। ঢাকা ইতোমধ্যেই সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের শহর হিসেবে ছাড়পত্র পেয়েছে।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময় ঢাকায় পৃথিবীর বিভিন্ন স্থান থেকে নানান সংস্কৃতির লোকজন এই শহরে এসে বসবাস করছে। এদের অনেককেই আজ আর খুঁজে পাওয়া যায় না। যেমন, একসময় বেশ প্রতিপত্তি নিয়ে ঢাকায় বসবাস করলেও ডাচ, ফরাসী কিংবা গ্রিকদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না এই শহরে। আবার আর্মেনিয়ান, এ্যাংলো-ইন্ডিয়ান, চায়নিজ, ইরাকী, ইরাণী, কাশ্মিরী, তেলেগু, কানপুরী, রাজবংশী, মান্দি, মণিপুরী, মারওয়াড়ি পরিবার এখনো ঢাকায় রয়েছে। বহিরাগত এই ভিন্ন সংস্কৃতির লোকজনদের বয়ে আনা সংস্কৃতির অল্প অংশই এখন অবশিষ্ট রয়েছে।

কিছু কিছু সাংস্কৃতিক উপাদান বাঙ্গালী সংস্কৃতিতে মিশে গেছে। তবে এখনো কিছু কিছু উপাদান রয়েছে যা দিয়ে তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে চিহ্নিত করা যায়। কানপুরী : উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ব্রিটিশ সরকার ভারতের কানপুর থেকে যে নিম্নবর্গের লোকজনকে শহর পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়ে এসেছিল আমরা তাদের কানপুরী হিসেবে চিনি। তেলেগু এবং কানপুরীদের একই গোত্রের মনে হলেও কারপুরীদের রয়েছে নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি। কানপুরী নারীদের চেনার সহজ উপায় তাদের বিশেষ ভঙ্গির শাড়ি পড়ার ধরন।

আঁচলকে পেঁচিয়ে সামনের দিকে নিয়ে এসে কানপুরী নারীরা যে ঢংয়ে শাড়ি পরিধান করে তা বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। এই শাড়ি পড়ার ধরন আমাদের কাছে সুইপারদের শাড়ি পড়ার ধরন বলে পরিচিত। ঢাকার আর কোন জনগোষ্ঠী এই ভাবে শাড়ি পরিধান করে না। ঢাকার কানপুরীরা আটটি উপগোত্রে বিভক্ত। ছবিটি টিকাটুলীর সিটি কলোনী থেকে তোলা।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।