:)
বিষণত্না একটি অসুখ যা কখনো কখনো শারীরিক সমস্যার জন্যও হয়ে থাকে আবার কখনো অন্য কোনো কারণেও হয়ে থাকে৷ আত্মহত্যার প্রধান কারণ বিষণত্না৷ বিষণ্নরোগী নেতিবাচক চিন্তায় জড়িয়ে যায়৷ সে নিজেকে সব ধরনের ক্ষেত্রে পরাজিত ভাবে৷ কোনোভাবেই আত্মবিশ্বাস খঁুজে পায় না৷
কারণ
* বিষণত্না পারিবারিক বংশপরম্পরায় চলতে পারে৷ মা-বাবা উভয়ে বিষণত্না রোগে ভুগলে সন্তানদের বিষণত্না হবার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি৷ পুরুষের তুলনায় নারী বেশি পরিমাণ বিষণত্নায় ভোগে৷ নারীদের সামাজিক প্রেক্ষাপটকে এই হারের জন্য দায়ী করা হয়৷ বয়স একটি ফ্যাক্টর৷ বিষণত্নার গড় বয়স ২০-৪০ বছর৷ ইদানীং গবেষণায় দেখা যাচেছ শিশুরাও বিষণত্নায় ভোগে৷ সোস্যাল স্ট্রেস বা পারিপাw©র্শ্বক কাজের চাপ বিষণত্নার একটি ফ্যাক্টর৷
উপসর্গ
* ওজন কমে যায়
* কাজে উত্সাহ থাকে না
* মন ভালো থাকে না
* অপরাধ বোধ জণ্মায়
* কিছুতে আগ্রহ পায় না
* কোনো কিছুতে আনন্দ পায় না
* ঘুমে সমস্যা হয়
* প্রায় প্রতিদিন ক্লান্তি, অবসাদে ভোগে
* চিন্তা করার সামর্থ্য কমে যায়
* মনোযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়
* প্রায় প্রতিদিন সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে
* ক্ষুধা কমে যায়
* পেটের সমস্যা দেখা দেয়
* শরীর দুর্বল লাগে
* শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথা অনুভূত হয়
* আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, বেঁচে থাকার ইচ্ছা কমে যায়৷
শারীরিক সমস্যার জন্য যখন বিষণত্না দেখা দেয় তা বুঝার উপায়:
* বেশি বয়সে বিষণত্না দেখা যায়
* অতীতে কখনো মানসিক কোনো সমস্যা ছিল না
* পারিবারিক কোনো মানসিক সমস্যা নাই৷
করণীয়
বিষণত্না একটি অসুখ এজন্য দেরী না করে চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে৷
***ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।