হাওরপারে খাবারের খোঁজে এসে শিকারির গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারাল একটি মেছোবাঘ। ঘটনাটি গত বুধবার (২২ অক্টোবর) সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার হাকালুকি হাওরপারের ঘিলাছড়া গ্রামে ঘটেছে। বনবিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তর মৃত বাঘটিকে উদ্ধারের পর মাটিচাপা দিয়েছে। কুলাউড়া পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল নয়টার দিকে ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া গ্রামের ফজলু মিয়া (৪০) বন্দুক হাতে হাকালুকি হাওরের কাছে শিকারে যান। ওই সময় এক ফুট চার ইঞ্চি উচ্চতার একটি মেছোবাঘ পার্শ্ববর্তি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাওরের কাছে খাবার খুঁজছিল।
ফজলু মিয়া তাঁর বন্দুক দিয়ে মেছোবাঘটিকে লক্ষ্য করে চারটি গুলি ছোঁড়েন। তাতে মেছোবাঘটি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে কাঁতরাতে কাঁতরাতে সেখানেই মারা যায়। পরিবেশ অধিদপ্তরের স্থানীয় গ্রাম সংরক্ষণ দলের (ভিসিজি) সদস্যরা ঘটনাটি দেখে ফেললে ফজলু মিয়া দ্রুত গা ঢাকা দেন। ওই দিন সন্ধ্যায় পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। মৌলভীবাজার বনবিভাগের (বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ) সহকারী বন সংরক্ষক মোল্লা রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) বলেন, ‘ময়নাতদন্তকালে মৃত মেছোবাঘটির শরীরে চারটি ছররা গুলি পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে শিকারি ফজলু মিয়াকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে’। তিনি জানান, মৃত বাঘটিকে ফেঞ্চুগঞ্জে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। কুলাউড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের ইসিএ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শিবলি যুগভেরীকে বলেন, ‘হাকালুকি হাওরের ঘিলাছড়া এলাকায় ঘন জঙ্গল এবং তাতে মেছোবাঘের আবাসস্থল রয়েছে। খাবারের খোঁজে প্রায়ই মেছোবাঘেরা হাওরের কাছাকাছি আসে’। তিনি বলেন, ফজলু মিয়া একজন পেশাদার শিকারি।
তাঁর বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে অতীতে একটি মামলা হয়েছিল’। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘সা¤প্রতিককালে এ ধরণের বেশ কিছু ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে’।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।