আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারঃমাটির ময়না-মাদ্রাসা শিক্ষা-সরকারের নানা মুখি ভুমিকা

ব্যস্ত শহর ঠাঁস বুনটের ভিরে আজো কিছু মানুষ স্বপ্ন খুজে ফিরে........

আজ জাতীয় চলচিত্র পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ২০০২ সালের শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পি হিসাবে পুরুষ্কার পেয়েছেন নুরুল ইসলাম বাবুল। মাটির ময়না ছবিটিতে আনু চরিত্রে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাবস্থার করুন যে চিত্র ফুটে উঠে,তাতে এই শিশু শিল্পির চরিত্রটি ছিল এমন যে দরিদ্র ধর্ম ভিরু বাবা মার সন্তান হিসাবে মাদ্রাসা শিক্ষাতে অনেকটা বাধ্য হয়ে যেতে হয় তাকে। কিন্তু যে শিক্ষা শিশু আনুর মনকে আকর্ষন করতে পারেনি। বাবা মার কাছে থেকে আনন্দ আর ভালোবাসার মাঝে শিক্ষা গ্রহনের এক আকুল আবেদন তুলে ধরে তার চরিত্রের মধ্য দিয়ে। প্রকৃত পক্ষে আমার এই পোস্টের মূল লক্ষ্য,মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে সরকারের শতমুখি অবস্থান তুলে ধরার জন্য।

জাতীয় পুরস্কার পাওয়ার জন্য অভিনয়ের সাথে তার চতিত্রটি কি তাও বিবেচনায় আসে। আসা প্রয়োজনো। আমি মাদ্রাসা শিক্ষার বিপক্ষে না। কিন্তু মাদ্রাসা শিক্ষার নাম করে গরিব পরিবারের ও এতিম শিশুদের যেভাবে মগজ ধুলাই করে জঙ্গি ও ধর্মান্ধ উগ্র জন গোষ্ঠিতে পরিনত করা হচ্ছে,আমি তার পক্ষেও নই। এখানে এটা বলে নেয়া ভালো,মাদ্রাসা শিক্ষার পক্ষের যারা তাদের প্রধান যুক্তি হলো অনগ্রসর গরীব শিশুরা এর মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে।

বাংলদেশের সংবিধান অনুসারেই সকল নাগরিকের শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার দায় সরকারের। আর অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে সরকার তা করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই দারিদ্রতার নাম করে শিক্ষা ব্যবস্থায় আলাদা ধারা তৈরির মানে হয় না। মাদ্রাসা শিক্ষা যদি রাখতেই হয় তবে তা এমন করা যেতে পারে যে,প্রায়োগিক জীবনের সাথে সমন্যয় করে ধর্মিয় শিক্ষা হবে সেটি। যারা সেটা পড়বে তারা পরবর্তি জীবনে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আসবেনা।

এটা যদি কেও বৈশ্যম্য ভাবেন তাদের বলতে হয়,কেও যদি গনিত না নিয়ে SSC HSC পাশ করে বলে আমি ইঞ্জিনিয়ার হব,আর তাকে তা পড়তে না দেয়া হয়,তখন কি সেটাকে বৈশম্য বলবেন? গত কাল সাদা দল ঢাবি ভর্তি পরিক্ষাতে মাদ্রাসা ছাত্রদের যোগ্যতা হরন করা নিয়ম বাতিলের জন্য প্রকাশ্য আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে। আমরা কি একবার ভাববনা রাজনীতির বাইরেও আমাদের একটা পরিচয় আছে,আমরা এদেশের নাগরিক!!আর দেশের কথা ভেবে কিছু ব্যাপারে দায়ত্বশীল আচরন করা!!সকল কিছুকে ইস্যু না করে বিশ্বিবিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি সমাধানের পথে আশার কথা ভাবতে পারবে না? শিক্ষার অধিকার সকলের আছে,আর সেটার ধরন পছন্দের অধিকারো সকলের আছে। কিন্তু রাষ্ট্র কে স্থির করতে হবে সম্পুর্ন বিপরিত দুটি শিক্ষা ব্যবস্থাকে সামনের দিন গুলিতে আলাদা রাখবে,না কি নানা চাপে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিশ্রীংখলা বাড়াবে। গত কালের এক সেমিনারে এক বক্তার (আমার এক প্রিয় স্যার) এর কাছে যে কথা শুনলাম তাতে গা শিওরে উঠেছে!!সরকার এ বছর মসজিদ ভিত্তিক শিক্ষার নামে বিশাল অংকের এক বাজেট রেখেছে। যাতে ৪০ হাজার লোক নিয়োগ করা হয়েছে/হচ্ছে।

যার মাঝে ৩২ হাজার শিবির কর্মি। এর উদ্দ্যেশ্য ও এর ফলাফল কি হতে যাচ্ছে? আমার যা মনে হয়,বাংলাদেশে যখন যে সরকারই আসে না কেন তারা সরকারের যে অসংখ্য অর্গান থাকে তার উপর নিয়ন্ত্রন ও সমন্বয় করতে পারে না। তাই এক এক স্থান থেকে আসে বিপরিত ধর্মি সকল সিদ্ধান্ত। আর এই সকল সিদ্ধন্ত যে ম্যাসেজ আমাদের দেয় তা আমাদের শুধু বিভ্রান্তই করে!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.