আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাগরিক শয্যা (একজন অপ্রকৃতস্থ কবি)

সামুদ্রিক বিভ্রম

টেবিলে কবির নিজস্ব সম্রাজ্য নথিভুক্ত হয়। এই নাট্যাভিনয়ে দর্শক: একটি অ্যাশট্রে, একটি মধ্যরাতের মগ আর একটি লাল পিপড়ার সারিবদ্ধতা--; যে কবিতাটি লেখা হচ্ছে সেটি না লিখলে বিশেষ ক্ষতি হতো না আমাদের; অর্থাৎ পৃথিবীর। তবু অশেষ মেধাশ্রমে কবি এইমাত্র যে জ্যামিতি সৃষ্টি করলেন তার জন্য তিনি ঘনিষ্ঠ নারীর সঙ্গে অবলীলায় বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারেন কোনরকম অপরাধবোধ ছাড়াই; সমস্ত মানবিকতার মুখে থকথকে থুথু দিয়ে চলে যেতে পারেন নিশ্চিন্ত পানাহারে। কবি তার সমস্ত জীবন মধুর আলস্যে কাটাতে পারতেন যদি তা কবিতা জন্মের সহায়ক হতো! কবিতাকে নারীর সমমর্যাদা দিতে পৃথিবীর তাবৎ কবি নারীকে নিজ শয্যায় নিয়ে গিয়ে প্রকারান্তরে আত্মহত্যায় অনুপ্রাণিত করেন; নারী তখন কবির চোখে থরোথরো প্রেম রেখে কামহীন অন্ধকারে দ্রবীভূত হয়ে যায়। কবি শরীরে কামের গন্ধ নিয়ে ঘাম আর বীর্যস্খলনোৎসবের মধ্যদিয়ে নতুন রাজ্যপাটে অভিষিক্ত হন। পৃথিবীর সমস্ত কবিতাই আসলে নারীর চোখের জলের মতোই টলটলে- (হঠাৎ কবিতাটি মনে হচ্ছিল)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.