মৃত্যুর সু-শীতল ছায়াতলেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। । । আমি খুবই সাধারন একজন।
দর্শকদের বিচারে ঈদের অনুষ্ঠান
এবারের ঈদে সবগুলো চ্যানেলে অনুষ্ঠান ছিল অনেক।
নাচ, গান, সিনেমা, টক শোর পাশাপাশি প্রচুর নাটকে সমৃদ্ধ ছিল এই আয়োজন। নিজেদের ভেতর দর্শক টানার যুদ্ধে মাতোয়ারা চ্যানেলগুলোর অনুষ্ঠান কেমন লেগেছে বিচারক মানে দর্শকদের? আদৌ কি বিজ্ঞাপন বাণিজ্যের ভীড়ে এইসব অনুষ্ঠান মনের আনন্দে দেখতে পেরেছেন তারা? কী কী ভালো লেগেছে তাদের? এবারের অনুষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে দর্শক মন্তব্য নিয়ে সাজানো হলো এই রচনা। মতামতগুলো সংগ্রহ করেছেন কামরুল কনক।
আশিক, ছাত্র, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
আমি এবারের ঈদের জন্য নির্মিত সবগুলো নাটক দেখতে পারিনি। তবে যে নাটকগুলো দেখেছি তার মধ্যে সজল অভিনীত ‘কুসুম অথবা মূর্খ মফিজের গল্প’ নাটকটা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
এবারের ঈদে বেশিরভাগ সময়ে আমি একটি নাটক শেষ পর্যন্ত দেখতে পারিনি বিজ্ঞাপনের অত্যাচারে। কারণ বিজ্ঞাপনের সময় চ্যানেল বদলে ফেলেছি। একবার অন্য চ্যানেলে চলে গেলে আগের চ্যানেলে আর ফেরত আসিনি।
অনিকা, ছাত্রী, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
আমার এমনিতেই ঈদের সময় টিভি দেখা হয় না। আত্মীয়-স্বজনদের মাঝেই সময় কেটে গেছে।
বন্ধু-বান্ধবদের কারণে এবারের ঈদের জন্য নির্মিত টেলিভিশন অনুষ্ঠান দেখা হয়ে ওঠেনি।
পলাশ, ছাত্র, আশা বিশ্ববিদ্যালয়
এবারের ঈদে আমি গ্রামে গিয়েছি। ওখানে স্যাটেলাইট সংযোগ না থাকায় ফলে এবারের অনুষ্ঠানগুলো দেখতে পারিনি। তবে আমি বিটিভির কয়েকটি নাটক দেখেছি। আমার ভালো লেগেছে হানিফ সংকেতের ‘ইত্যাদি’।
বৃষ্টি, ছাত্রী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী
ঈদের অনুষ্ঠানগুলোর মাঝে আমার কাছে ভালো লেগেছে নাটক। চ্যানেল আইয়ের ‘তোমাকে ভালোবাসি’ এবং এটিএন বাংলার ‘পত্রমিতালী’ নাটক দুটি ভালো লেগেছে।
মুহিত, ছাত্র, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ
এবারে ঈদের ছুটি আমি বন্ধু-বান্ধবের সাথে মজা করে কেটে গেছে। ফলে টেলিভিশন দেখতে পারিনি।
মোঃ আলী কায়সার, আইসক্রিম বিক্রেতা
ভালো লেগেছে ‘ইত্যাদি’।
তবে এই অনুষ্ঠানের নানা-নাতি পর্বটি ভালো লাগেনি। ছয় তারকার গানের অনুষ্ঠানটি ভালো লেগেছে।
নোমান, ছাত্র, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এসোসিয়েশন
চ্যানল ওয়ানে প্রচারিত ‘সিটি বাস’ নাটকটি আমার ভালো লেগেছে। কারণ একটা বাসে কতো রকমের যে ঘটনা ঘটতে পারে সেই ব্যাপারগুলো এই নাটকে উঠে এসেছে।
শুভ, ছাত্র, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
চ্যানেল ওয়ানের ‘ইন্টারভিউ’ টেলিফিল্মটি ভালো লেগেছে মেকিংয়ের কারণে।
কেউ যদি ইত্যাদির চেয়েও ভালো কোনো ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান বানাতে পারেন, তাহলে ম্যাগাজিন আবার দেখবো
চ্যানেল আই, চ্যানেল ওয়ান আর এটিএন বাংলার নাটকগুলো ভালো লেগেছে। এটিএনের ‘পত্রমিতালী’ টেলিফিল্মটি ভালো লেগেছে। এনটিভির একটা নাটক ভালো লেগেছিল-এখন নাম মনে নেই।
ইমতিয়াজ আহমেদ, ছাত্র, ঢাকা সিটি কলেজ
এনটিভিতে প্রচারিত ‘বিপরীতে আমি’ নাটকটি দেখেছি। আর কোনো অনুষ্ঠান দেখা হয়নি।
রেজাউল হক, একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা
চ্যানেল আইয়ে হুমায়ূন আহমেদের নাটক মহান ‘চৈনিক চিকিৎসক ওয়াংপি’ দারুণ ভালো লেগেছে। ওনার নাটক মানেই হাসির নাটক-এটা আবারো প্রমাণিত হলো।
জীবন, ছাত্র, মিরপুর সরকারী বাংলা কলেজ
একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত জেমসের গানের অনুষ্ঠান ‘গুরু জেমস’ ভালো লেগেছে। এসবের বাইরে নাটকগুলো দেখেছি। ভালোই লেগেছে।
মোহনা, কলেজছাত্রী
নাটক দেখেছি। অন্য অনুষ্ঠানগুলো ভালো লাগেনি।
আসাদুজ্জামান, গার্মেন্টস কর্মচারী
ঈদের অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে নাটকই আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে।
রফিকুল ইসলাম, সরকারী কর্মচারী
এতো বেশি বিজ্ঞাপনের কারণে কোনো অনুষ্ঠানই তেমন মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারিনি। ফলে এখন কোনটা ভালো হয়েছে সেটা বলতে পারবো না।
কারণ নাম মনে নেই।
মোহাম্মদ কাদের, বেকার
ঈদের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাইনি। আড্ডা দিয়ে কাটিয়েছি।
মামুন হাসান, চাকুরীজীবী
বাংলাভিশনে সজল আর তিশার একটা নাটক খুব ভালো লেগেছে। তবে অনেক বেশি অনুষ্ঠান ছিল এবারের ঈদে।
যেগুলোর বেশিরভাগই ছিল মানহীন।
মো : মনিরুল ইসলাম, ট্রাক ড্রাইভার
‘ইত্যাদি’ ভালো লেগেছে। আর কোনো অনুষ্ঠানের নাম এখন মনে নেই। তবে আমি টিভি দেখেছি। চ্যানেল আইয়ের ঈদের চতুর্থ দিনের নাটকটি ভালো লেগেছে।
সেটার নামও ভুলে গেছি।
সোহেল, চাকুরীজীবী, এসিআই সল্ট
ঈদের ছুটিতে গ্রামে গিয়েছিলাম। আত্নীয়-স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছি। তাই টিভি দেখা হয়নি।
সুমন, দোকানদার
‘ইত্যাদি’ দেখেছি।
আর নাটকগুলো ভালো হয়েছে।
মানিক, ছাত্র, চট্টগ্রাম কমার্স কলেজ
বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরেছি। তাই টিভি দেখতে পারিনি।
জাহিদ, রিক্সাচালক
জাহিদ হাসানের নাটক আর ইত্যাদি ভালো লেগেছে।
মরিয়ম বেগম, গৃহিনী
নাটক ভালো লেগেছে।
গানের অনুষ্ঠানগুলো ভালো লাগেনি। তেমনভালো হয়নি বলে মনে হয়েছে।
সুমনা, চাকুরীজীবী
বিজ্ঞাপনের জন্য কোনো অনুষ্ঠানই মনোযোগ দিয়ে দেখতে পারিনি। আর সস্তা অনুষ্ঠান দেখেয়েছে সবগুলো চ্যানেল। নাটক ভালো হয়েছে।
দর্শকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা এই মতামতগুলোর মাধ্যমে ঊঠে এসেছে যে, বিজ্ঞাপনের কারণে অনুষ্ঠানগুলোর দিকে পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারেননি দর্শকরা। তারা মনে করেন অনুষ্ঠানে আরো কম বিজ্ঞাপন এবং বিজ্ঞাপন বিরতির সময়সীমাও কম থাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। দর্শকরা এবারের ঈদের নাটকগুলো সাদরে গ্রহণ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নাটকের মান দিন দিন আমাদের দেশে উন্নত হচ্ছে। আর অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোতে তারা সৃজনশীলতার প্রকাশ অত্যন্ত কম দেখতে পেরেছেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।