ঘটনা যা ঘটার তাতো ঘটলোই। এইটা শুরু। সামনে....
প্রথম যখন ভাস্কর্য ভাঙার আবেদন মিছিল ও ওদের পুরানা জঙ্গীপনা(যা রাস্ট্র কখনোই বাধা দেয় না)য় আতঙ্ক এবং ক্ষোভ নিয়ে কয়েকটা বন্ধুর সাথে কথা বললাম। সবারই এক অবস্থা। তাইলে তো ভাস্কর্যটা রক্ষা করতে নামতে হয়! কিন্তু এইবেলা সবাই এমন কি আমার ভেতরও একটা খচখচানি শুরু হইলো।
কারন আর কিছুনা মৃণাল হক সয়ং। এই লোক সারা ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় দৃস্টি নন্দনের নামে যে পরিমান দূষন তৈরী করছেন যোগাযোগ ও নানান ফিকিরে তা গত সংখ্যার আর্টবিট পত্রিকায় বিস্তারিত আছে। আর এই সেই মৃণাল হক যে- ছাত্রাবস্থায় ঘুমন্ত শিশির ভট্টাচার্যের উপর চড়াও হয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। এ হেন লোকের তো ভাস্কর্য তো দূরের কথা মূর্তি নির্মানেরই যোগ্যতা নাই। অথচ দিনের পর দিন এই একটা লোকই সারা ঢাকায় একটার পর একটা .......
কথা বললে ওনেক কথা চলে আসে।
আমার মনে হয় আমাদের শিল্পী সমাজের একটা ধারাবাহিক নিস্কৃয়তায় এইসব উজবুক রাস্ট্রের কাছে নিজেরে িশল্পী ভাস্কর বানায়া শেষ পর্যন্ত যার ক্ষতি করে তা হইলো শিল্পর। আরো আগে থেকে যদি এরে চিহ্নিত করা যাইত তাইলে বর্তমান ঢাকায় ভাস্কর্যর নামে যা ায স্থাপনা আছে তার এতটা দূরাবসবথা হইতো না আর আমরাও আমাদের সেরা ভাস্করদের কাজগুলার প্রকৃত পোষকতা করতে পারতাম। যাউগগা এবার কইতে চাই আরেকটা কথা, কোন একটা পয়েন্টে একটা ভাস্কর্য হবে এইটা কে কিভাবে প্রয়োজন মনে করলেন এবং পরে করা কারা সেইটা কর্যকর করলেন অর্থ্যাৎ প্লানিং কমিশন বা ঐ জাতিয় কিছু যারা এইসব করে থাকে তারা মনে হয় না শিল্পসংশ্লিস্ট কেউ বা ওদের মধ্যে অন্তত কেউ একজন আছেন যার যথার্থ শিল্পবোধ রয়েছে। মৃনাল যা বানাইছে তার ছবি দেখছি তো সেইটারে ভাস্কর্যতো দূরের কথা নেহায়েৎ দূর্বল মূর্তি (কেউযদি মূর্তি বানাইতে চান তাতে আমার আপত্তি নাই, মূর্তি তৈরীর প্রচীন ঐতিয্যে আমি বরাবরই গুনাগ্রাহী) বইলাও মাইনা নিতে হয়। এখন একে ভাস্কর্য কইয়া যারা সৌন্দর্য তৈয়ার করতে চান তাগো তো......
এখন যে ঘটনা ঘটল তার প্রভাবতো অনেক দুর পর্যন্ত বিস্তৃত।
কারে কমু আর কিকরুম এহন।
এ হেন পরিস্থিতিতে মৌলবাদী আক্রমন প্রতিহত যেমন জরুরী তেমনি মৃণাল হকের মত কৃমিনালদেরও ভাস্কর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে যাবার একটা সম্ভাবনা থেকে আমি তার প্রসঙ্গ টেনেছি।
পুতুল, মূর্তী, প্রতিকৃতি, ভাস্কর্য এসবের মধ্যে পার্থক্যতো বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন দেখিনা। কিন্তু ওরা সব কিছুকেই মুর্তির দাড়িপাল্লায় ফেলে অন্যায্য ও মধ্যযুগীয় মূল্যবোধ দিয়ে আমাদের নন্দনতত্বের বিরোধীতা করছে। সেটা অনেক ব্যপক, সরাসরি আর প্রাচীন ফাইট।
ওদের সাথে আমাদের। যারা শিল্পের নানান ফ্রন্টে সক্রিয় আছি।
"মোল্লারা ভাষ্কর্যের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে , ভাষ্করের বিরুদ্ধে নয় । "
আর রাস্ট্রের ভূমিকা নিয়েও আমি কিছু কথা বলার ব্যার্থ্য চেস্টা করেছিলাম আমার প্রথম দিকটাতে। তাছাড়া এই মুহূর্তে মাথায় আরেকটা ব্যাপার ঘুরপাক খাচ্ছে- ধরেন লীগ/বিএনপির শাসনামলে মুজিব/জিয়ার প্রতিকৃতি স্থাপন করা হলে যে গোস্ঠিটি এখন বিরোধীতা করছৈ"মুর্তি" স্থাপনার তারা তখন কি করত বা রাস্ট্রের ভুমিকাইবা কিহত তখন।
কিন্তু এখন ওরা কেই ক্ষমতায় নেই আর প্রতিকৃতি হয়েছে লালনের। এই লালনের সাথেতো ধর্মান্ধদের বাহাসের প্রাচীন ইতিহাস আপনি জানেনই। পরে হয়ত বিস্তারিত বলার কোশেষ রাখি।
ধর্মান্ধতা আর রাস্ট্রীয় পশ্চাদপদতা এক সাথে অগ্রসর হচ্ছে নানান রকম চেহারায় সর্তর্ক ও সক্রীয়তার আলাদা ফ্রন্ট দরকার, পুরানা ছাউনিগুলাতে আর আস্থা নাই।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।