মানুষের দৈনন্দিন জীবন-যাত্রায় যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই জরুরী। আমাদের দেশে বিশেষ করে ঢাকা শহরের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে গিয়ে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবন-যাপনের মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অবহেলিত হচ্ছে।
শহরের পরিবহন পরিকল্পনায় যান্ত্রিক যানবাহনকে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনে কিংবা অপ্রয়োজনে নগরবাসীকে যান্ত্রিক যানবাহনের উপর নির্ভরশীল করে তোলা হচ্ছে। একারনেই হাঁটার বিষয়টি একদিকে যেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না, অপরদিকে মানুষ হাঁটার সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। এ জন্য দায়ী ফুটপাত এবং রাস্তায় চলাচলের প্রতিকুল পরিবেশ।
যে কোন দূরত্বে যাতায়াত করতে যান্ত্রিক যানবাহনের ব্যবহার বেড়ে চলছে প্রতিনিয়ত। শহরে বাড়তি যানবাহনের জন্য তৈরি হচ্ছে যানজট, বাড়ছে জ্বালানী নির্ভরতা, বায়ূদূষণ, শব্দদূষণ। গাছ কেটে, ফুটপাত ভেঙ্গে প্রশস্ত করা হচ্ছে রাস্তা, নির্মাণ করা হচ্ছে ফ্লাইওভার। এসব কারণে দিনে দিনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে নগরী। এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন হাঁটার উপযোগী পরিবেশ গড়ে তোলা।
যেখানে মানুষ নগর জীবনের ব্যস্ততার সাথে তাল মিলিয়েই হাঁটার প্রতি আগ্রহী হবে।
হাঁটার পরিবেশ তৈরিতে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি অন্যান্য পরিবহনের ব্যবহার, সার্বিক পরিবেশ, সামাজিক সমস্যাগুলোর প্রতি গুরুত্ব প্রদান না করা হলে, মানুষ হাঁটতে উৎসাহী হবে না। হাঁটার পরিবেশ তৈরির লক্ষ্যে পার্ক/খোলা জায়গা, জ্বালানিমুক্ত যানের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং যান্ত্রিকযান বিশেষ করে প্রাইভেট গাড়ীর ব্যবহার হ্রাস, পথচারীদের সামাজিক ও মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি, ফুটপাতের বিদ্যমান সমস্যা ও সুবিধাগুলো চিহ্নিতসহ নানা ধরণে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।