যা তুমি আগামিকাল করতে পার, তা কখনো আজ করতে গিয়ে ভজঘট পাকাবে না...
গত বছর পুজোর সময়টাতে ছিলাম টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানেই ছিলাম অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত। মির্জাপুরের সাহাপড়ায় বেশ কয়েকটি মণ্ডপ দেখেছি। এর মধ্যে গ্রামের মণ্ডপ যেমন ছিল, তেমনি ছিল সে এলাকার বিখ্যাত ভারতেশ্বরী হোমসের মণ্ডপও। অনেকেই জানেন এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি শৃঙ্খলার জন্য পরিচিত।
ফলে আমার ধারণা ছিল না তাদের মণ্ডপের ছবি আমি তুলতে পারব। অনুরোধ করাতে কেবল মণ্ডপে নিয়ে গিয়েছিলেন, তা নয়। এরপর প্রসাদ খাইয়েছিলেন এবং সবশেষে বিসর্জনের নৌকায় পর্যন্ত উঠতে দিয়েছিলেন তারা, যেখানে কেবল প্রিন্সিপাল, শীর্ষ কর্তাগণ এবং ছাত্রীরা থাকে। তাদের সহায়তা না পেলে এ ছবিগুলোর বেশিরভাগই আমি তুলতে পারতাম না।
হোমসের বিশাল নৌকা মাঝ নদীতে, আশপাশ দিয়ে চলে যাচ্ছে অনেক মণ্ডপের নৌকা।
আলাদা করে খেয়াল করার দরকার হলো না, পরিবেশের পার্থক্যটি পরিষ্কার দেখলাম। সেসব নৌকায় যখন হিন্দী সিনেমার গান বাজছে, কিশোর-তরুণ নাচছে দূর্গাঠাকুরের সামনে, হোমসের নৌকায় তখন ছাত্রীরা গাইছে রবীঠাকুরের ভক্তির গান। সে গান শুনতে শুনতেই দেখলাম সূর্য টকটকে লাল হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে নিজেকে বিসর্জন দিতে।
ছবিগুলো যখন আপলোড করছি, তখন প্রতিটি দৃশ্য আমার চোখের সামনে দিয়ে চলে যাচ্ছে। তার খানিকটা রেশ যদি আপনি এ ফটোগ্যালারি থেকে পান, কৃতিত্ব আপনার।
ওই সময়ের পরিবেশ সম্ভবত সবাই লিখে প্রকাশ করতে পারবেন না। আমিও পারলাম না, ঠিক যেভাবে প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম।
সাহাপাড়ার একজন ছবি তুলছেন
এই ছোট্টমণিটি এসেছিল পুজো দেখতে
প্রস্তুতি চলছে
পুজো উপলক্ষে মেলা
প্রদীপ শিখায় ভক্তি
সাহাপাড়ায় একটি মন্ডপের তোরণ
অপেক্ষা
প্রসাদ
আরতি-১
আরতি-২
আরতি-৩
সূর্যাস্ত
বিসর্জন -১
বিসর্জন -২
বিসর্জন -৩
বিসর্জন -৪
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।