এডিট করুন আমি পুরুষ মানুষ। পুরুষদের ধর্ষিত হবার সম্ভাবনা কমই থাকে। তাই কোনদিন ধর্ষিত হব, সে চিন্তা কখনও আমার মাথায় আসে নাই। কিন্তু আজ নিজেকে একজন ধর্ষিতের মতই অপমানিত লাগছে।
আমি জানতাম না কোন অসহায় বোন ধর্ষণের মত অন্যায়ের শিকার হলে কি ধরণের সর্বগ্রাসী অনূভুতি ও অপমানবোধ তাদের মনে জন্ম নেয়।
কিন্তু আজ আমি জানি। আজ আমি জানি তারা কিরকম অসহয়াত্ব ও নির্মম বেদনা উপলব্ধি করেন। কি ধরণের মানসিক পীড়নের সম্মুখীন তারা হোন, আজ আমি বুঝতে পেরেছি।
আজকে আমার নিজেকে ধর্ষিত মনে হচ্ছে। আমার ঘৃণা হচ্ছে কেন যেন নিজের প্রতি।
আমার কেন যেনে চারপাশের সৌন্দর্য দেখতে আর ভাল লাগছে না। আজকে আমার অসহ্য লাগছে সবকিছু। রোদের আলো আজ কেন যেন খুব কুৎসিত দেখাচ্ছে। নিজেকে অপবিত্র লাগছে। নিজেকে নোংরা মনে হচ্ছে।
মনে হচ্ছে আমি খুব কুৎসিত একটা জীব। আমার সবকিছু কুৎসিত। মনে হচ্ছে পৃথিবীতে আমার আর কোন স্থান নেই। আমার কোন সমাজ নেই, ধর্ম নেই, পরিচয় নেই, কিছুই নেই। আমার একটাই পরিচয়, আমি নষ্ট।
আমি এক নষ্ট জীব, আমি এক নোংরা জীব।
যে জাতি তার ধর্ষিত মায়ের সম্মানের চেয়ে গোপনে আতাতে ধর্ষকের সাথে মিল মহব্বতকেই প্রাধান্য দেয়, যে জাতির কাছে তার কুকুরে খাওয়া পিতার লাশের চেয়ে তার পিতার হত্যাকারীর বেচে থাকার গুরুত্ব বেশী, যে জাতি তার ভাষা শহীদদের মাসে তাদের ভাইয়ের হত্যাকারীদের মুক্তি দেয়, সে জাতি আর কী করবে?
যারা বিদেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন, উন্নত দেশের পাসপোর্ট নিয়েছেন, তাদের প্রতি একটাই অনুরোধ। এই নষ্ট দেশকে ভুলে যান, এই নষ্ট জাতিকে ভুলে যান। এই জাতির জন্ম মিথ্যা, অস্তিত্ব মিথ্যা। এ জাতির কাছে আপনাদের পাওয়ার কিছু তো নাইই বরং কিছু দিতেও পারবেন না।
ভুলে যান এ জাতির কথা।
আজকে আমি উপলব্ধি করছি একজন ধর্ষিত কিভাবে কষ্ট পায়। আমরা গরীব দেশ, দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ, দিন আনি, দিন খাই। আমাদের ছিল শুধু সম্মানটা। অন্তত সম্মানটুকু আমরা রক্ষা করতে পারতাম, একটা পরিচয় দেবার মত জাতি হিসেবে মুখ ফুটে নিজেদের নামটা বলতে পারতাম।
আজ আমাদের সেই সম্মানটুকুও নষ্ট হল।
কে আর করবে বিচার? বিএনপি? হা হা। আর কেউ নাই। বিচার করলে ওই আওয়ামী লীগই করত। আওয়ামী লীগ যখন ঠিক করেছে বিচার করবে না, তখন আর কি করা।
ধর্ষিতের অপমান নিয়ে বসে থাকুন। পারলে অন্য কোন দেশের অন্য কোন জাতীয়তা গ্রহণ করুন। যে জাতি নিজের সম্মান নিজে রক্ষা করতে জানে না, সে জাতির আর কি আছে? ধন সম্পদ তো নাইই, ইজ্জ্বতটুকুও নাই। শেষপর্যন্ত পতিতালয়ই কি আমাদের স্থান? মনে হয় না। কারণ ওদেরও আত্মসম্মানবোধ বলে জিনিসটা আছে।
আমাদের সেটাও নাই।
------------------
অফটপিকঃ কি দরকার ছিল এত ছাগু ফাইট করার? কি হল? আমাদের বাচ্চাদের ভাষা হিন্দি, বড়দের ভাষা ইংরেজী, কাপড়োচোপড় ভারতীয়, সবেধন নীলমণি ছিল একটা কলংকমুক্ত জাতিয় পরিচয়, সেটাও গেল বলে। ছাগুরাই ভাল। পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলে, পাকিস্তানীরাও ওদের খাতির করে। আমরা যেমন জাতির পিতা কে সেটা নিয়ে বিতর্ক করি ওরা অন্তত তা করে না।
ওরা সবাই জিন্নাহকে জাতির পিতা বলেই মানে। তা সে সামরিক শাসকই হোক, রাজনৈতিক দলই হোক আর সাধারণ মানুষই হোক। সবাই জিন্নাহকেই জাতির পিতা বলে। ওরাই ভাল আছে। মরুক বাচুক, ওদের জাতীয় পরিচয় আছে।
আমাদের তাও বোধহয় থাকলো না। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।