আসলে আমি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের গল্প বলতে পছন্দ করি না।
এ সব স্মৃতি হাতড়াতে আমার ভালো লাগে না। অভিমান একটা কারণ। সেই প্রসঙ্গে না যাই।বিজয়ের মাস এসেছে।
স্মৃতি হাতড়াতে না চাইলেও কিছু স্মৃতি আমাকে ঘিরে ধরে- ঘিরে আছে। মনে পড়ে, অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে।
ছোটবেলা থেকেই আমার মাথায় ঢুকে গিয়েছিল, পশ্চিম পাকিস্তানি আর আমরা এক জাতি নই। আমার মতো তরুণদের একটি ক্লাব ছিল। আমরা এ নিয়ে আলোচনা করতাম।
বৈষম্য আর শোষণ আমাদের তরুণ মনে তীব্র রেখাপাত করে। রক্তে আগুন ধরে- প্রতিবাদী হতে ইচ্ছে করে।
২৫ মার্চের গণহত্যার পর আমাদের পাকিস্তান বিদ্বেষ পরিণত হয় প্রচণ্ড ঘৃণায়। সুযোগ খুঁজতে থাকি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়ার। ঢাকায় তরুণদের মেরে ফেলা হচ্ছে।
আমাকে পালাতে হলো। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে পালিয়ে ছিলাম জিঞ্জিরায়, তারপর কিছুদিন বিক্রমপুর। পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে ঢাকায় ফিরি। ঢাকায় ফিরেই বাচ্চু [নাসিরুদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু] ভাইয়ের দেখা পেলাম। তিনি বললেন, সবকিছু ঠিকঠাক করা আছে।
চল ট্রেনিংয়ে চল। আগরতলায় ট্রেনিং নিলাম। তারপর ঢাকা উত্তর সেকশনের হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলাম। মুক্তিযুদ্ধে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের সামনে গাড়িবোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে পাকিস্তানি মিলিটারিদের ভ্যান উড়িয়ে দেওয়ার অপারেশনটি আমার মুক্তিযুদ্ধের একটি স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।