গলাবাজ আর সত্যিকারের লেখক এই ব্লগে টিকে থাকে, আমি কোনটাই না
তারাবাজি ছোটবেলায় অনেক করেছি, তবে বিশাল স্কেলের তারাবাজি মানে ফায়ারওয়ার্ক প্রথম দেখার সুযোগ হয় গত বছর একইসময়। কিন্তু গতবার আমার কাছে ক্যামেরা ছিলোনা আর তখন ব্লগেও লিখতাম না। তাই ভাবলাম এবার পুরো ফেস্টিভাল টুকু আপনাদের সাথে শেয়ার করি।
সাধারণত কোরিয়া জাপান আর আমেরিকার শো হয় এখানে। বিশাল আয়োজনে বলতে গেলে পুরো কোরিয়াই যেন এই উৎসবে মেতে ওঠে।
গত বছর এই দিনটি পড়েছিলো রোজার ঈদের দিন। এবার পড়লো ঈদের ২ দিন পরে। গতবার দেখেছিলাম কি পরিমাণ ভীড় হয় তাই এবার আগে ভাগে বিকাল ৪ টার দিকেই নদীর পাড়ে বসার জন্য জায়গা করে নিলাম আমরা কয়েকজন।
বিকাল ৪ টাতেই সাবওয়ে উপচানো জনতা
নদীর পাড়ে অপেক্ষা করছে অসংখ্য মানুষ
সামনে পিছনে ডাইনে বায়ে চলছে কোরিয়ান কাপলদের আহ্লাদি প্রেম, আমরা সেটা নিয়ে মজা করছি আর মনে খুলে বাংলায় কথা বলে হাসাহাসি করছি। তোরা তো আর কিছু বুঝবিনা হে হে।
একসময় শুরু হলো আকাশে রঙের খেলা। আমি ক্যামেরা তাক করে একের পর এক সাটার চেপে যেতে লাগলাম। আর চারপাশের ওয়াও ওয়াও এর সাথে মাঝে মাঝে ওয়াও বলতে লাগলাম।
দূরে দেখা যাচ্ছে সিউল টাওয়ার
নদীর ওপারের আরেকটি ছবি
পুরো তিন ধাপে প্রায় ১ ঘন্টা চললো এই টাকার শ্রাদ্ধ। বেশি মজা দেখলে আমার কোন কালেই কেনো যেন ভালো লাগেনা।
যাইহোক এক পর্যায়ে সব শেষ হয়ে গেলো।
এবার আসল যুদ্ধের পালা। সবচে কাছের সাবওয়ে বন্ধ করে দেয় পুলিশ। যাতে জনতা হেটে দূরের গুলোতে যায়, এতে ভিড় কিছুটা হালকা হয়। প্রায় ৪ কিমি হেটে অনেক কসরৎ করে তবে একটা স্টেশন ঢুকলাম।
ফেরার পথেও যথারীতি মারাত্মক ভীড়
বলাই বাহুল্য বাসায় ঢুকে, কোন রকমে খেয়ে বিছানায় শোয়া মাত্রই নিরবিচ্ছিন্ন একটা সুখের ঘুম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।