মা বাবা যার নাম রেখেছিল- ফেলানী, সে তো যমের যাতে চোখ না পড়ে।
এই ফেলানী নামের পিছনে যে কতটা স্নেহ মমতা ভর করেছিল তার মর্ম কতজনই বা বুঝে?
হয়তো তারা মনে করে- যে মা বাবা নাম রাখে ফেলানী- তাকে মেরে ফেললে কার কিইবা ক্ষতি!
একজন অস্ত্র পাচারকারী নয়, একজন গরু ব্যবসায়ী নয়, একজন মাদক বা নারী পাচারকারী নয়,
খুন হলো- একজন কিশোরী- মা বাবার ফেলে দেওয়ার নাম= ফেলানী। আর এই এই মামলায় যে কিছু হবে না তা তো আগে থেকেই জানা। - কারণ মামলাটিই ছিল - অনীচ্ছাকৃত খুনের মামলা। খুনটা যদি অনীচ্ছাকৃতই হয় তাহলে মামলার দরকার কি সেটাই তো বুঝিনা
আসলে এই মামলাটিই ছিল একটি প্রতারণা।
মামলার রায়ে বলা হয়েছে- কাপড় আটকে গিয়েছিল ফেলানীর। তার পর কেউ কেউ নাকি ঢিল মেরেছিল। আর সেই জন্য গুলি চলেছে। মারা গেছে ফেলানী। কাপড় যদি আটকে গিয়েই থাকে তাহলে তাহলে ঢিল মারলো কে? যারা ঢিল মারলো- তাদের কি কেউ আহত বা নিহত হলো?
ভারতের বাঘা জওয়ানরা একজন কিশোরীকে হত্যা করে জাতীয় খেতাব নিতে চেয়েছে।
ভারতের সীমান্ত রক্ষীরা বাংলাদেশে ফেনসিডিল এর চালান বন্ধ করতে পারে না, বাংলাদেশ থেকে চামড়ার চালান বা পাটের চালান বন্ধ করতে পারে না- । অস্ত্র ব্যবসায়ী বা সন্ত্রাসীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না- পারে ফেলানীর মতো কিশোরীর দফা রফা করতে। বাহাদুর বটে? ৎ
শত ঘৃণা ও ধিক-----।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।