একজন ইউনুস খান বেঁচে থাকতে চান গণ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং উদ্যেগ গ্রহণের মাঝে।
বাংলাদেশে গণতন্ত্র ভূমিষ্ট হওয়ার পর থেকেই এর প্রতি কু-দৃষ্টি পড়েছিলো এক শ্রেণীর স্বার্থান্বষী মহলের। এই স্বার্থান্বষী মহল গণতন্ত্রকে হত্যা করতে গলা চেপে ধরলো। ফলে গণতন্ত্র যখন হাটি হাটি পা পা তখনি রুগ্ন হয়ে গেলো এই চাপের ধাক্কা সহ্য করতে না পেরে। তারপরও গণতন্ত্র খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটতে লাগলো।
আর ঐ স্বার্থান্বেষী মহল সবসময় উৎপেতে থাকতো, সবসময় গণতন্ত্রের শ্লীলতাহানি করার চেষ্টা করতো। আর তাদের লোলুপ দৃষ্টি, দৃষ্টির নিষিদ্ধ কামনায়, লেহনে গণতন্ত্র প্রতিনিয়তই কামরস ঝড়তো।
অনেক চেষ্টা করে গণতন্ত্র তার সতীত্ব ঠিক রাখলেও এইবার তার চূড়ান্ত পরাজয় হয়েছে। যারা এতদিন ধরে গণতন্ত্রকে ধর্ষণ করে কামনার রস মিটাতে চেয়েছিলো, তারা এইবার সফলকাম হয়েছে। গণতন্ত্রের বুকে কলংকের আঁচর লাগিয়ে তাকে ধর্ষণ করেছে।
গণতন্ত্রের সতীত্ব হারানোর চিৎকারের সাথে সাথে আরো কোটিগণের একটু ভালোভাবে বেঁচে থাকার আকুতি-কাঁকুতি, একটি সুন্দর দিনের প্রত্যাশা সবকিছু ধর্ষণ হয়ে গেছে।
আমরা আবার ফিরে যাচ্ছি এক-এগারর পূর্ব অবস্থায়।
দুর্ণীতিবাজরা একে একে সবাই বের হয়ে আসছে আর জামিন দিচ্ছে আমাদের বিচারপতিরা। সাকারা বের হয়েই বাদিকে হুমকি, ট্রাম্প কার্ডের মালিক জলিল সাহেব জামিন পেয়েই নিল্লর্জের মতো হাইকোর্টে দাড়িয়েই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার ঘোষণা, দেলোয়ার-আনোয়ারের আলো-আঁধারের খেলা, সর্বশেষ দুই নেত্রীকে একসাথে বসানোর উদ্যেক্তকারী ব্যারিষ্টার রফিকুল ইসলাম, এফবিসিআই সভাপতি আনিসুল হকদের সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পরামর্শ সবমিলিয়ে গণতন্ত্রের রক্তাক্ত জোনি কে আরও কত রক্তাক্ত করা যায় সেই পৈশাচিক উল্লাসে মেতেছে ধর্ষণকারীরা।
নিরব নিথর দেহ নিয়ে, ক্ষত-বিক্ষত জোনি কোন কিছুই এই ধর্ষককারীদের মন গলাতে পারছেনা।
মাঝে মাঝে মনে হয় এইভাবে নিরব-নিথর দেহ নিয়ে গণতন্ত্র আদৌত আমাদের কতটুকু মঙ্গল করতে পারবে। কেননা হিংস্র ধর্ষণকারীদের এখনো যদি একটুও কামভাবের সৃষ্টি হয় তাহলেই তারা আবার হিংস্র হায়েনার মতো গণতন্ত্রের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। অথচ জোনির গা এখনও শুকায়নি।
এখনও একশ্রেণীর লোকজন গণতন্ত্রকেই দোষে যাচ্ছে। ধর্ষণকারীদের ভূমিকা তাদের কাছে গৌণ।
তাদের বক্তব্য "গণতন্ত্র যত ভেঙ্গে পড়বে তত বেশী গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। "
আমার কাছে ব্যাপারটা হাস্যকর ঠেকেছে। আমার মনে হয়েছে উনারা বুঝাতে চেয়েছেন যতবেশী ধর্ষণ ততবেশী কামুতি। কেননা এইখানে এখন আরেকটা মূখ্য প্রশ্ন আমাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আগে গণতন্ত্রের বেশী বেশী চর্চা নাকি আগে ধর্ষণকারীদের লিঙ্গ কেটে ফেলা কোনটা আগে করতে হবে?
একটা কৌতুক খুব মনে পড়ছেঃ
নার্সঃ স্যার আপনি আর রোগী দিয়ে কি করবেন? যে রোগীগুলো এসেছিলো সেগুলোকেইতো মেরে ফেলেছেন অপারেশন থিয়েটারে।
ডাক্তারঃ সেই জন্যইতো আরো রোগীর দরকার।
প্রেক্টিসের দরকার আছেনা?
আসলেই প্রেক্টিস না করলে কি আর সরকারে যারা আসে তাদের চলে? সেইজন্য কোটি মানুষের প্রত্যাশা আর সমর্থন চাপিয়ে যে নিরপক্ষ এক/এগারো সরকার এসেছিলো তারাও এখন প্রেক্টিস ম্যাচ খেলছে। আজ এই কথাতো-কাল উল্টো। এইখানে গণতন্ত্রকে মনে হয় শেষ বারের মতো ধর্ষণ করা হয়েছে।
এইবার গণতন্ত্র কুঁকিয়ে কেঁদে উঠেছে। কেননা সবাইকে কেমন জানি মারমুখী মনে হচ্ছে।
ঐ গলির মোরের রিক্সাওয়ালাও এইবার কথায় কথায় মইন-ফকরের পাছা মারতে ছাড়েনা। ১/১১ এর ফলে মধ্যবয়সী যে বাবা মেয়েকে উত্ত্যক্ত করার বিচার চেয়েছিলো আদালতে সেই আসামীকে জামিনে বের হতে দেখে ক্ষুব্ধ, ভীত, শেষে চোয়াল শক্ত করে ফেলেছে। আর সরকার মহোদয় সেই আধা পাগলের ভাব ধরে বসে আছি যেন কেউ কিছু বুঝেনা.............
এক আধা পাগল ছিলো। সারাদিন এইদিক-ঐদিক টই টই করে ঘুরে বেড়াত। একদিন রাত্রে বাসায় আসলে তার বউ বললো ওগো শুনেছ আজ নাকি সরকারের পতন ঘটেছে।
কিছুক্ষণ আগে টিভিতে বলেছে। এইবার রন্জু সরকার হেসে উঠলো আর বললো, দেখলে বউ কত সরকার আইলো আর গেলো, আর কত সরকারের পতন ঘটলো। কিন্তু এই রন্জু সরকার রন্জু সরকারই রয়ে গেলো।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।