আমার প্রিয় মানুষ। আমার আদর্শও বলা যায়। এ মানূষটিকে আমি অসম্ভব শ্রদ্ধা করি, ভালোবাসি। খুব কম মানুষকে দেখেছি এতো শুদ্ধ করে বাংলায় কথা বলতে। বাক্যের মাঝে পারতপক্ষে একটিও ইংরেজি শব্দ ব্যবহার না করে কথা বলা খুব কঠিন।
এ কঠিন কাজটি অত্যন্ত সহজ আর সাবলীল ভাবে করতে দেখেছি আমি তাঁকে। খুব সুন্দর হাতের লেখা। ইংরেজি আর বাংলা দুটোই।
১৯৮০ সাল। এ মানুষটি তখন বিভিন্ন সাপ্তাহিক কাগজের নিয়মিত লেখক।
তারমধ্যে বিচিত্রা, আনন্দ বিচিত্রা, চিত্রালী আর পূর্বানী অন্যতম। তার দেখাদেখি আমিও ২/১ টি লেখা পাঠাতে শুরু করলাম বিভিন্ন পত্রিকায়। হঠাৎ হঠাৎ ছাপাও হতো তা। সেই আমার লেখালেখির হাতেখড়ি...
তাঁর অনুপ্রেরণায় আমাদের পরিবারের অরো ৩/৪ সদস্য লেখালেখি শুরু করে। একসময় খুব ভালোও লেখে তারা।
তার একজন সুলতানা শিপলু। অসম্ভব ভালো লেখিয়ে ছিল মেয়েটি। উদ্ভট সব বিষয় নিয়ে লিখতো এই মেয়েটি। চিত্রালী দিয়ে শুরু করে ভোরের কাগজ এবং অতঃপর প্রথম আলো দিয়ে লেখায় ইতি টানে। গেল দুই বই মেলায় ছোটদের উপর তার দুটি বই বেরিয়েছে।
ভোরের কাগজ এবং প্রথম আলোর একসময়ের তুখোড় লেখিকা সুলতানা শিপলুর সাফল্য বলতে এ টুকুই...এখন পরিপূর্ণ গৃহিনী, দুই রাজ কন্যার জননী।
অন্যজন রেজা য়ারিফ। আমার দেখা বাংলাদেশের সেরা রম্য লেখকদের একজন ও। চিত্রালী দিয়ে শুরু করেছে। ভোরের কাগজ এবং প্রথম আলোতে যে কদিন লিখেছে- ও ছিলো সেরা।
ওর সেন্স অব হিউমারের প্রশংসা করতে শুনেছি আমি খোদ হুমায়ূন আহমেদ আর আনিসুল হককে। এ দুজন মানুষের সাথে ওর ছিলো ব্যক্তিগত সখ্যতা। হু. আহমেদের সাথে সখ্যতার মাত্রা ছিলো অনেক বেশি। তিনি তার একটি উপন্যাস উৎসর্গও করেছেন ওকে। সেন্টমার্টিন্সে হুমায়ূনের বাড়ি সমুদ্র বিলাস উদ্বোধন করার সময় ওকে সাথে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।
সেটিও আজ থেকে ১৩/১৪ বছর আগের কাহিনী। সেই রম্যলেখক রেজা য়ারিফ ইদানীং ব্যবসায়ি। মূদ্রা নামের ওর একটা এড ফার্ম আছে কাকরাইলে...
আর আমি ? এখনও ছাইপাশ লেখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি...। এ এক কঠিন নেশা। এ থেকে বেরুনো বড়ো কঠিন...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।