একটি খবর পড়লাম। খবর এর সারমর্ম হল এই: আমেরিকাতে কোন এক ছাত্র (বয়স দেয়া নাই) তার খেলনা ভল্লুক এর নাম রেখেছে মুহাম্মদ। সেই ঘটনায় ক্রুদ্ধ হয়ে সুদান এর পাচ সাচ্চা মুসলমান সুদান এ আমেরিকান এক ডিপ্লোম্যাট ও তার সুদানি গাড়ী চালককে (এদের সাথে আমেরিকার ঐ ছাত্রর কোন সম্পর্ক নেই) গুলি করে মেরে ফেলেছে, এবং এক ব্রিটিশ ডিপ্লম্যাটকে ও মারার চেষ্টা করেছে।
খবর এর লিন্ক : Click This Link
এই খবর পরে আমি আমার এক “মরডারেট” মুসলিম বন্ধু কে খবরটা দেখালাম। তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হোল, “হ্যা, আমেরিকান ঐ ছাত্রর উচিত হয় নি মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি তে আঘাত করা।
”
আমি কি ঠিক শুনলাম? কোন রকম কারন ছারা দুই জন মানুষ মেরে ফেলা হোল। অথচ আমার “মরডারেট” মুসলিম বন্ধুর কাছে সেটা বড় না। বড় হোল “মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতি”। তার প্রথম প্রতিক্রিয়া হতে পারত যে মনুষ গুলিকে মারা ঠিক হয়নি। কিন্তু তা না করে ধর্মীয় অনুভূতিকে এতো বড় করে দেখে কি ধর্মীয় আফিম এরই ফসল?
আমি আমার মুসলিম বন্ধু কে এই কথাটা জিগ্গেস করলাম।
নির্দোশ দুই জন মানুষ মারা টা কি কোন অপরাধ না? তার উত্তর হোল “দুই জন মানুষ খুন করা অবশ্যই অপরাধ হয়ছে কিন্তু মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা ও ঠিক হয় নি।
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়ত অনুচিত হয়েছে। কিন্তু মানুষ খুন করার মত অপরাধ এর সাথে যে সেটা একই পাল্লায় মাপা হচ্ছে, সেটা কি আমাদের জন্য চিন্তার ব্যাপার নয়? একজন বিবেকবান মানুষকে এই পরযায় নামিয়ে আনাটা সুধু মাত্র ধর্ম দ্বারাই সম্ভব। একজন মুসল্মান এর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া যে তার ধর্মিয় অনুভুতি কে ডিফেন্ড করা, এবং মানবতার বিরুদ্ধে ঘটিত অপরাধ এর প্রতিবাদ নয় তা কি আমাদের জন্য আ্যলার্মিং নয়?
একন প্রশ্ন হোল মানুষ এর ধর্মীয় অনুভূতি বড়? নাকি স্বাধীনতার অনুভূতি বড়? ধর্মীয় অনুভূতি বড় হলে কেউ ধর্মের বিপক্ষে কোন কথা বলতে পাড়বে না। মানুষ এর বাক স্বাধীনতা বা মতামত প্রকাশ এর স্বাধীনতা তখন আর থাকে না।
আমরা একটি টোট্যালাট্যারিয়ান সমাজ এ মধ্যে ফেরত যাব। যার কলকাঠি থাকবে ধর্ম পতি দের হাতে। প্রগতি থাকবে না কারন তা মানুষ এর “ধর্মীয় অনুভূতি” তে আঘাত করবে। বিগ্গান এর অগ্রযাত্রা হবে না কারন তা মানুষ এর “ধর্মীয় অনুভূতি” তে আঘাত করবে। হিস্টোরিকাল রিসার্চ হবে না কারন তা মানুষ এর “ধর্মীয় অনুভূতি” তে আঘাত করবে।
সব চেয়ে চিন্তার ব্যাপার হোল ধর্মীয় অনুভূতি বাচাতে যেয়ে স্বাধীনতা মেরে ফেলার কাজটি কোন কাটমোল্লা করে নি। করেছে এক “মরডারেট” মুসলিম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।