আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিষের আগষ্ট....বিষাদ কাটা-১



অনেক চিত্রল ক্ষত নিয়ে মেঠোপথ হারিয়ে গেছে সেঁজুতিদের বাগানে। হায়! প্রজাপতি, মানুষের পথে উড়না তুমি। তবু রংধনুর কুচি ছড়িয়ে গেলে, এক ভরা বর্ষায় লাজুক প্রজাপতি আর মেঘেদের সাথে সে বাগিচায় ডুবে গেছি আমি। গাছ লতা পাতা আর ফুল ভালোবেসে ঝিম ধরে গেছে আমার অলস ভাতঘুমের দুপুর। আমার মা বাড়ি নেই।

পাতার গায়ে ভাতের মাড় ফেলে কে আর বলবে আজ শুকাতে শুকাতে ফিরে এসো বাবা। ওইখানে ঝাড় জলের কিনারে পোকায় কাটবে তোমায়। মা, মা অচেনা পোকায় কেটেছে আমার পা। চিনচিনে ব্যথা নিয়ে আমি সারাদিন হাঁটি আর আমার বন্ধুরা প্রেমিকের মুখ নিয়ে জেগে থাকে সারারাত। বৃষ্টি এলে বেহালার সপ্ততার বাজেঁ...অনুভুতিতে ভেসে যায় বন্ধুদের শুকনো উঠান।

ভোর বেলায় দৌড়ে আসে আপন সখা। আমি বাগিচার জারুল ফুলের গল্প বলি। মোঠোপথ ক্ষত নিয়ে হারিয়ে গেছে সেঁজুতিদের বাগানে। জারুলের পাতায় লেগেছে বৃষ্টির আঘাত। আমরা দুজন মিলে ছুঁয়েছি ভিজে উঠা সেইসব জারুলের পাতা।

আপন আকাশের হৃদয় নিয়ে যত্নে কুড়িয়েছে জারুল পাতা। রিরিরিরি........মা, মা প্রজাপতিদের কোন ঘর নেই! এই সত্য জেনে , সেঁজুতিদের বাগানে পথ হারিয়েছি আমি। নরম সবুজ গভীরে পরশ দিতে গিয়ে বুঝেছি, পাতার দুপিঠে লাগেনা ঝড়ের বাতাশ। দুরকম ত্বক নিয়ে অবিনাশি দুরত্বে জেগে থেকে, আজন্ম গায় ভিন্ন অথচ শাশ্বত গান। মা, মা ঝাড় জঙ্গল আর এই জলের কিনারে সেঁজুতি আসে আবার চলে যায়।

মা, পোকায় কেটেছে আমার পা, চিনচিনে ব্যথা। ধোঁয়া মেঘে মুখ ঢেকে চাঁদ রোজ উঠেনা। চাঁদ নেই হায় চাঁদ দেখিনা! বাঁশবাগানের মাথার উপর জেগে উঠে রুহুল আমিন স্টেডিয়াম। রুহুল আমিন আমার দুধভাই। পদ্মার দুধমাখানো জলে, কাকে যেন ভালোবেসে খুঁজেছিল প্রিয়তম মুখ।

মা, মা সেঁজুতিদের বাগানে সুগন্ধি ফুল। ছিড়ে নেয়ার ব্যাকুলতায়, কারা নাক খাড়া করে পা রাখবে পথে? মা ক্ষত আমার পায়ে, চিনচিনে ব্যথা, নাক আমার পায়ের দিকে। তবু হায় প্রজাপতি! আমিও শুনাবো গল্প, ভিজে বাতাশে মেখে যাওয়া ফুলেদের গান। কোন এক বসন্তের রাতে আমারও চোখ আর জড়াবে না ঘুমে। শ্যানেল কিনে বাড়ি ফিরবে শহুরেদের দল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।