স্রোতহীন পুকরে দুরন্ত ছেলের ঝাঁপ
দিন দশেক আগের কথা। আমি অফিস থেকে ফিরে গ্যারেজে নামতে নামতেই ভুরু কুঁচকে গেল। এই পদের গান (আমার সোনার ময়না পাখী) কি আমার ঘর থেকে ভেসে আসছে। দোতলায় উঠতে উঠতে টের পেলাম যা ভেবেছি তাই। অবাক হয়ে গেলাম ভেবে যে, হিন্দি সিরিয়ালের একনিষ্ঠ ভক্ত আমার স্ত্রী বাংলা ফোক গান শুনছে?
ঘরে ঢুকতে ঢুকতে জিজ্ঞেস করব ভাবলাম যে শরীর খারাপ কিনা।
করা হলো না। বেডরুমে ঢুকতেই মনে হলো, মন্দিরার টুকরো গুলো যেন বাতাসে ভেসে বেরাচ্ছে। আমি চোখ বন্ধ করে আবেশে জরিয়ে গেলাম গানের। অসামান্য সে কম্পোজিশন আমাকে যেন বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলল। আমি দাঁড়িয়েই রইলাম ঠায়, আর অনুভব করতে লাগলাম অপার্থিব সুন্দর ইন্সট্রুমেন্টেশনের সাথে অর্ণব এর মাতাল করা ফোক ডেলী্ভারী।
গান এক সময় শেষ হলো। দেখী আমার স্ত্রী হাসছে। আমার হাত থেকে জ্যাকেট টা নিতে নিতে বললো আমার এক ই অবস্থা হয়েছিল বসুন্ধরায় গান্ টা শুনে, হারিয়ে গিয়েছিলাম, তখন ভাবলাম, তোমার জন্য এটা কেনা উচিত। আমি মুখে বললাম তোমার দেখি রুচি বদলায়ে গেলো, হিন্দি ছেড়ে বাংলা, তাও আবার ফোক, এবং তুমি এতে হারায়েও যাও? প্রভূত উন্নতি তোমার। উত্তর আসলো, খোঁচা না মারলে ভাল লাগে না, না?
মনেমনে ভাবলাম, জয়তু অর্ণব, জয়তু মনপুরা এলবামের সকল কন্ট্রিবিউটার।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।