ইদানিং খুব ঘাস খাই আর নির্বোধ গরু হয়ে উঠার স্বপ্ন দেখি,বঙদেশে গরুদের জন্য সব লক্ষীই হাত পেতে আছে । রাষ্ট্র ও সমাজযন্ত্র যখন সংকরিত গরুর গোয়াল ।
জানালার গ্রীলে মরচে পরা খোপে পাচটি আঙ্গুল লটকিয়ে
বিষন্ন ভাসে মন উদ্দেশ্যহীন দৃষ্টিশূন্যতার পরাবাস্তব মোহে।
নীচে লাল লাল ইঁটের কবুতর খোপ সদৃশ গেরস্তালী উচ্চকন্ঠ
দারিদ্র উচ্চকম্পাংকের নারীকলহকন্ঠ । সংকীর্ণ গলি নর্দমার
অলংকারে যৌবনবতী ।
এই জানালার গ্রীল ধরে কুঁকড়ে পাঁশুটে
আবলুষ মন গ্রীল বেয়ে ওঠা শখের মানিপ্লান্ট আক্রোশে আনন্দে
অকারনে ছিন্ন করে। এই খানটাতে দাঁড়িয়ে দেখেছি শ্বেত
বিস্ফোরনের মত বাতাসের শরীর কেটে বের হয়ে আসা
লম্বা গলা আর শিঊলী বোঁটা ঠোটের দুইটি রাজহাঁস । কিভাবে
মেয়ে হাঁসটা ডানা দুলিয়ে দিকে দিকে সুন্দরের শব্দ পাঠিয়ে
শিউলী বোঁটা ডুবিয়ে রাখত অফসেট সাদা দুধের ফেনার
আন্দোলনে নগরের এই ব্রাত্য অংশে যেন হঠাতই বনফুলঘ্রান ।
এই মরচে খোপে হাত বিধিয়ে কৃষ্ণ পটভূমি হয় কালপুরুষের
উদ্ধত বেল্ট হেফিস্টাসের ধ্বংসের হাতুড়ি । চোখের চির সততঃ
সঞ্চরন নৌকা ভেড়ায় বিরল বৃক্ষ সবুজে পটেটো চিপসের ঠোঙ্গায়
জেগে ওঠা নাগরিক ক্যানাভাসময় অসতর্ক তুলির আঁচড় ভীড়ে ।
গ্রীলে ঝোলানো মন নিয়েই দেখি দিগন্তে ফিনিক্স পাখির উৎসব
পালক রন্ধ্র থেকে খসা জন্মদাত্রী ভস্ম কুয়াশা আর জীবনের
পুনরজন্ম । শরৎ গন্ধের শিশিরের স্নানের চিহ্ন নিয়ে পরী তীব্র
আকাঙ্ক্ষী আলিঙ্গনে যখন স্রোতের মত আমাতে মিশেছিল
পাঁচটা স্থানে মরচে গ্রীলে চেপে বসেছিলো আমার হাত ।
কিন্তু নিদারুন নিয়তি নিরন্তর গ্রীলে আটকানো হাত আক্রান্ত
মৌচাকের মত নিক্ষেপিত চারদিকে ছড়ানো নিরর্থক দৃষ্টিশূন্য দৃষ্টি।
আর দৃষ্টিসীমার ব্যাসার্ধে মরচে গ্রীলে আরো অসংখ্য নিরর্থক হাত
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।