প্রায় ৯ বছর আগে সর্বশেষ চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, দর্শক আবার কখন আপনার নির্মাণ উপহার পাবে?
হ্যাঁ, ২০০৫ সালে সর্বশেষ মুক্তি পায় আমার পরিচালিত 'প্রতিবাদী মাস্টার'। পরবর্তীতে ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং চলচ্চিত্রের ব্যবসা অনুকূলে না থাকায় নির্মাণে বিরত ছিলাম। এখন সুদিন কিছুটা হলেও ফিরেছে। দর্শক আবার প্রেক্ষাগৃহমুখী হয়েছে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি শীঘ্রই নির্মাণকাজ শুরু করব।
প্রস্তুতি চলছে।
চলচ্চিত্রের সুদিন সত্যিই ফিরেছে?
আমার মনে হয় নব্বই দশকের শেষ ভাগ থেকে চলচ্চিত্রাঙ্গনে যে খরা শুরু হয়েছিল এখন তা অনেকটাই কেটেছে। এটি সম্ভব হয়েছে যুগ উপযোগী গল্প, নির্মাণ, গান আর প্রযুক্তির কারণে। তা ছাড়া সিনিয়র প্রখ্যাত নির্মাতারা আবার নির্মাণে ফিরতে শুরু করেছেন। পাশপাশি বেশ কজন তরুণ নির্মাতা মেধার স্বাক্ষর রেখে দর্শকমন জয় করে নিয়েছেন।
সব মিলিয়ে দর্শক এখন রুচি অনুযায়ী চলচ্চিত্র পাচ্ছে এবং উৎসাহ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিরছে।
কিভাবে এই সুদিন ধরে রাখা যায়?
আসলে চলচ্চিত্র হচ্ছে সবচেয়ে বড় গণমাধ্যম। এখানে জনগণের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। আমাদের পারিপাশ্বর্িক জীবনচিত্র সুস্থ ও সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। একইসঙ্গে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা সাধনের পাশপাশি গান, গল্প নির্মাণে আধুনিকতার ছোঁয়া বজায় রাখতে পারলে এদেশের চলচ্চিত্রে সোনালি অতীত অবশ্যই ফিরে আসবে এবং এই সুদিন ধরে রাখা সম্ভব হবে।
চিত্রনাট্যকার হিসেবেও জাতীয়সহ নানা স্বীকৃতি এবং সুনাম রয়েছে আপনার, এক্ষত্রে বর্তমান ব্যস্ততা কেমন?
এ মূহূর্তে আমার আটটি চিত্রনাট্য নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ চলছে। এগুলো হচ্ছে- এফ আই মানিকের দুটি, সোহানুর রহমান সোহানের দুটি, সাফিউদ্দীন সাফির একটি, সালাউদ্দীনের একটি, অনন্ত জলিলের একটি এবং নায়করাজের একটি চলচ্চিত্র।
ছোট পর্দার নির্মাণ নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন, এ বিষয়ে বলুন-
ছোট পর্দায় ইতোমধ্যে আমার নির্মিত বেশ কয়েকটি নাটক প্রচার হয়েছে। শীঘ্রই চ্যানেল আইতে প্রচার হবে ধারাবাহিক নাটক 'শিকড়'। এর পাণ্ডুলিপি আমিই তৈরি করেছি।
দেশ ও সমাজ সচেতনমূলক বিষয় এতে মর্মস্পর্শীরূপে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এছাড়া 'ছোট বোন' শিরোনামে একটি টেলিফিল্মের নির্মাণকাজ শীঘ্রই শুরু করব। পাশাপাশি আরও কয়েকটি নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে।
ছোট পর্দার নাটকের মান এখন কেমন?
বেশ ভালোই বলা চলে। পুরাতন এবং নতুন নির্মাতারা আধুনিক ধ্যান ধারণার গল্প এবং নির্মাণ নিয়ে সাবলীলভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন, দর্শক সাড়াও ভালো মিলছে, তবে দুঃখের কথা হচ্ছে বিজ্ঞাপন প্রচারে আধিক্যের কারণে এসব নাটকের স্বাদ পরিপূর্ণ ভাবে গ্রহণ করতে পারছে না দর্শক।
* শোবিজ প্রতিবেদক
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।