আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গোপনে মাইনাস প্রদান চারিত্রিক দুর্বলতা

শুদ্ধতার আগুনে যেন সতত পুড়ি

কোনো পোস্টে প্লাস বা মাইনাস দিলে দাতার নাম প্রকাশ হয় না। চেহারা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে ভেবেই চোরেরা বেশির ভাগই রাতের অন্ধকারে চুরিতে নামে। তেমনি গোপনে অনেকেই প্লাস দেন। গোপনে প্লাস দেওয়াটা মনে করি মহনুভবতা। কিন্তু মাইনাস? এই ব্লগসাইটে কেন এর প্রবর্তন? কারণ কোনো লেখা আপত্তিকর হলে তার রেটিং হবে মাইনাস।

সেক্ষেত্রে অনেকের পোস্টেই দেখেছি জোরালো প্রতিবাদের সঙ্গে মাইনাস ঘোষনা। সম্প্র্রতি আমার একটি পোস্টে নিশ্চুপ একটি মাইনাস পড়ে থাকতে দেখেছি। হয়তো অনেক পাঠকই দেখে থাকবেন। কিন্তু এটা তো কোনো যৌক্তিক কাজ হলো না! পাঠকের ভালো না লাগলে অবশ্যই সেই ভালো না লাগার কথাটি বলার তার অধিকার রয়েছে। সে ক্ষেত্রে চুপিসারে মাইনাস দিয়ে যাওয়া এ কেমন প্রতিবাদ? আমি মনে করি (অনেকেই মনে করেন হয়তো।

) সাহসী মানুষ প্রকাশ্যেই প্রতিবাদ করে। গোপনে মাইনাস দেওয়ার নাম প্রতিবাদ নয়। এটি চারিত্রিক দুর্বলতারই পরিচায়ক। আর যারা নিজকে আড়াল করে মাইনাস দিয়ে যান তাদের কর্মকান্ডকে চৌর্যবৃত্তির সঙ্গেই তুলনা চলে। আশা করি সা.ইনের সব ব্লগার গোপনে মাইনাস প্রদানকারীকে এখন থেকে চোর, সিঁধেলচোর ইত্যাদি গোপন দুষ্কৃতিকারীর নামে অভিহিত করার আহ্বান জানাচ্ছি।

তা ছাড়া সা.ইন কর্তৃপক্ষ প্লাস-মাইনাস ব্যাপারটি সম্পূর্ণ উঠিয়ে দিতে পারেন। কিংবা মন্তব্যর ক্ষেত্রেই প্লাস-মাইনাস প্রযোজ্য হবে এমন সিস্টেম করা যায়। কেন না কোনো পাঠক কেন মাইনাস দিয়েছে তা লেখকের জানবার অধিকার নিশ্চয়ই আছে বলে মনে করি। সেই সঙ্গে মাইনাস দেওয়ার কারণটাও পাঠক হিসেবে উল্লেখ করা সুশীলতারই পরিচায়ক বলেই বিবেচ্য।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।