প্রিয় ব্লগার বন্ধুগণ
শুভেচ্ছা।
আপনারা জানেন, গত শুক্রবার নিষিদ্ধ পূর্ববাংলা কমিউনিষ্ট পার্টি (এমএল, লালপতাকা) প্রধান ডা. মিজানুর রহমান টুটুলকে ঢাকায় গ্রেফতার করা হয়। রোববার ভোরে তাকে নওগাঁর রানীনগরে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হয়েছে ! এটি অবশ্য বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড হিসেবে সমধিক পরিচিত। অথচ আজকের সংবাদপত্রে লিখা হয়েছে, ঘটনাস্থলে ডা. মিজানসহ সর্বহারা সন্ত্রাসীরা গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে যায় এবং তথাকথিত বন্দকযুদ্ধে ডা. মিজান আহত ও পরে হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বেশ কিছু পুলিশ অর্থাৎ ১৬ জন আহত হন, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার হয়েছে।
তবে মজার ব্যাপার হলো এতবড় বন্দুকযুদ্ধ সেখানে কেবল ডা. মিজানই আহত শেষ পর্যন্ত নিহত হলেন। আর তাঁর সহযোগিরা কেউই আহত হলেন না, অথচ ১৬ পুলিশ রীতিমত আহত। দেশে এমন একজন সাহসী সম্পাদক, সাংবাদিক, ইলেকট্রনিক্স আর প্রিন্ট মিডিয়া যাই বলি না কেন কেউই নেই এই ঘটনাগুলোর সরজমিন তথ্যানুসন্ধান করে সত্যি ঘটনাটি দেশ-জাতির সামনে উপস্থাপন করবেন। এটাই আমাদের জাতির দুর্ভাগ্য।
আবার সম্পাদক-সাংবাদিকরা যখন কোন সেমিনার-গোলটেবিল, আলোচনায় যোগ দেন তখন আমরা দেখি সুশাসন, গণতন্ত্র, মৌলিক অধিকার, সত্য প্রকাশ-প্রচার নিয়ে বক্তব্য দিতে গিয়ে একেবারেই মুখে ফেনা তুলে ফেলেন। আমাদের ব্লগার, লেখক, কলামিষ্ট, বুদ্ধিজীবীরাও (ব্যতিক্রম ছাড়া) সবাই এধরনের ঘটনায় সত্য লেখা-বলা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু কেন এই পলায়নপরতা?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।