আমার চাচাতো বড় বোনের একমাত্র ছেলে বাবু । বয়স মাত্র তিন বছর । বাবু নাম শুনেই আমার ভাগ্নেকে অতি ভদ্র টাইপের কিছু ভেবে বইসেন না আবার! এই বয়সেই আপুর অতি আদরের নষ্টপুত্রে পরিনত হয়েছে সে ! এই বয়সেই এমন কোন গালি বাদ নেই, যা তার অভিধানে নেই! ও যদি দশটি শব্দ বলে, তার মধ্যে ১১টি থাকে অতি জঘন্য গালি । মাস কয়েক আগে ওদের বাসায় গিয়ে চরম বিব্রতকর এক পরিস্থিতিতে পড়েছিলাম । চাচা,চাচী,আপু,দুলাভাই সহ ভরা মজলিশে গালির মাধ্যমে সে আমার পনের গুষ্ঠি উদ্ধার করেছিল !!! ওর গালির ভয়াবহতা দেখে কোন রকমে চকলেটের লোভ দেখিয়ে পালিয়ে বেঁচেছিলাম সেই যাত্রায় ! কান ধরেছিলাম, বেঁচে থাকতে আর ওই দিকে নয় । শালার দুলাভাই! পুলিশের কর্মকর্তা হওয়ায় সারাদিন চোর-ছ্যাচড়া নিয়া ব্যস্ত থাকে, আর এই দিকে পোলা লোকাল ছেলে-পেলের সাথে মিশে হইছে গালির রাজা! গত কোরবানির ঈদে বাসায় গিয়ে শুনি, শারীরিক একটা সমস্যা হওয়ায় বাবুর খৎনা করা হয়েছে ডাক্তারের পরামর্শে । চাকুরী সুত্রে দুলাভাই, আপু থাকেন পঞ্চগড়ে । খৎনা করার ৫দিন পরেই ওরা সবাই পঞ্চগড়ে চলে গেছেন । দুপুরবেলা বিছানায় শুয়ে সমরেশ মজুমদারের "কালবেলা" উপন্যাস পড়ছিলাম। রান্নাঘরে বসে চাচী আপুকে ফোন দিয়ে তার আদরের নাতির নু** খোজ খবর নিচ্ছিলেন!! চাচী জোরে জোরে ফোনে আপুকে জিজ্ঞেস করছিলেন, বাবু ওষুধ ঠিক মতো খাচ্ছে কিনা...নু** কাটা অংশ শুকিয়েছে কিনা...ইত্যাদি ইত্যাদি... কথার মধ্যে হঠাৎ চাচী বলে উঠলেন, নু** যত্ম খুব ভাল করে নিবি ছেলেদের সম্পদ বলতে তো ওই একটা জিনিসই !!!!! পাশের রুমে আমার অবস্থা তো শেষ ! অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাঁথা মুড়ি দিলাম...ভাবখানা এমন আমি এখন গভীর ঘুমের রাজ্যে বাস করছি ! বিঃদ্রঃ যুগটাই কিন্তু রিমেকের !