যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
বিয়ের পরে প্রথম শশুরবাড়ী যাচ্ছে কলিগ। বউ সেখানে কিছুদিন থাকবে, কলিগ চলে আসবে। আমাকে যেতেই হলো। ট্রেনে কিচিরমিচির করতে করতে আমরা পোঁছে গেলাম জালিয়ালনগর।
কলিগের বন্ধু হিসাবে আমিও মহা-আতিথ্যে দিশেহারা।
উপরন্তু ব্যাচেলার কলিগ বলে কলিগের ছোট শালিকে নিয়ে বেশ সুখে-শান্তিতে কয়েকদিন কেটে গেল।
ফেরার সময় ট্রেন স্টেশনে কলিগের শশুরবাড়ীর সবাই হাজির। স্ত্রীর সাথে বিদায় নিয়ে শশুর মহাশয়ের হাত ধরে কলিগের কান্না শুরু হলো। সেই কান্না মিহি থেকে মোটা দানায় রূপান্তরিত হলো। একসময় হেচকি দিতে দিতে কলিগ বগিতে উঠলো।
ট্রেন ছেড়ে দিলেও সে দরজায় দাড়িয়ে ফোপাতে থাকলো।
শশুরবাড়ীর সবাই রুমালে চোখ মোছে। কলিগের স্ত্রী শাড়ীর আচলে মুখ লুকায়।
ট্রেন তখন প্লাটফর্ম থেকে অনেক দূরে। সিটে এসে বসেছে কলিগ।
হাসি হাসি মুখ। জিজ্ঞেস করলাম, কি ব্যাপার? এত কান্নাকাটির কি হলো?
কলিগ মুচকি হেসে বলে, আসলে কি আর কান্দি, সবার চিত্তের মাঝে হান্দি!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।