পাখি পর্ব চলছে
ছাই রঙা মেঘ যখন বৃষ্টি ঝরাবার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, পূর্বাভাস স্বরূপ বেশ ঝড়ো হাওয়া, টিপটাপ টিপটাপ শুরু হওয়া মুড়কি বৃষ্টি-তোমার কথা মনে পাড়ে গেল।
প্রিয় মতিহারে আমাদের বেশ কিছুটা সময় কেটেছে। প্রায় ছ'বছর। ২০০১-২০০৬ এর মাঝামাঝি। একসাথে ক্লাশ, ফিল্ডওয়ার্ক, পরীক্ষা।
তারপর বিদায়। তোমার মনে আছে নিশ্চয়ই সেই দিনগুলোর কথা। লালনের চায়ের দোকানে চা খেতে খেতে আড়চোখে দেখা। আমার মতো তুমিও। তারপর ফিরিয়ে নেয়া।
মনে মনে হাসি। যেন কেউ বুঝতে না পারে। আমরাই দু'জন সে হাসির কারণ জানতাম শুধু। আহ্।
মনে আছে নিশ্চয়ই, ৩০৫ ক্ষণিকা, বিনোদপুর।
একদিন দুপুরে কী মনে করে তোমার একসময়ের প্রিয় বন্ধুর সাথে হাজির হয়েছিলে। কিছুক্ষণ আড্ডার পরে তোমাদের খাওয়ালাম । দুপুরের রোদ মাথায় নিয়ে বিদায় নিলে তোমরা। আমি বারবার বিশ্বাস করতে চাইছিলাম, তুমি এসেছিলে। সাথে তোমার বন্ধুটা ছিলো না।
তোমার নাচ দেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহটা তোমার জানা। 'বাঁশি শুনে আর কাজ নাই/সেযে ডাকাতিয়া বাঁশি' এই গানের সাথে তুমি নাচতে। ওই থিনথিনে শরীরে তুমি নাচতে কীভাবে এটা আমার গবেষণার বিষয় ছিল। সেটা ভাবতে ভাবতেই বুঝি আমি এখন গবেষক হিসেবে... পরবর্তীতে যখনই সেই গানটা শুনেছি, তোমার কথা মনে হয়েছে। মনে হয়েছে তোমার নাচের কথা।
শুনেছি তুমি স্বাস্থ্যবতী হয়েছো ইদানীং। ভাল। একটা চাকরী কর। নিশ্চয়ই বেশ পরিশ্রম হয় তোমার। ...
প্রথম বর্ষে সেইযে ভুলটা করেছিলাম, বন্ধুর মাধ্যমে শুনেছিলে আমার মনের কথা... তারপর থেকে একটু এড়িয়েই চলতে আমাকে।
আমি যাতই কাছে যেতে চাইতাম তুমি ততই এড়িয়ে যেতে। ... (ক্রমশ)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।