আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

(বিচিত্র বাথরুম / টয়লেট অভিজ্ঞতা- ১) জাকার্তা বিমানবন্দরে ফাটা বদনা!

সবকিছুতেই নির্মোক থাকছি, সবকিছুই ইদানীং অর্থহীন মনে হয়; নিজের এই নেতিবাচক প্রবণতায় নিজেই লজ্জিত ।:(

পর্ব ২: Click This Link মার্চের দিকে একটা অফিসের ট্রেনিং এ যাওয়া হয়েছিলো, প্রচন্ড তাড়াহুড়ো করেই| এক্কেবারে শেষ মূহুর্তে ইন্দোনেশিয়ার ভিসা পাওয়ায় আগের বুকিং দেওয়া সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স বাদ দিয়ে যাত্রার তিন ঘন্টা আগে মালেয়েশিয়ান এয়ারের টিকেট কাটা হলো, কারণ না হলে প্রথম দিনের সেশন বাদ যাবে| সকাল দশটায় পৌঁছলাম জাকার্তা সুকার্নো-হাত্তা এয়ারপোর্টে| জ়েডব্লিঊ ম্যারিয়ট এ হোটেল বুকিং দেওয়া আছে, কিন্তু আমি চাইছিলাম সরাসরি ট্রেনিং সেশন এ যেতে| তাই সহকর্মী মুস্তাফিজ সহ ফ্রেশ হবার জন্য এয়ারপোর্টের ভিতরের দিককার একটা ফ্রেশরুম এ ঢুকলাম| প্রথমে মুস্তাফিজ, কারণ আমি মালপত্র পাহারা দিচ্ছি ; তারপর আমি ঢুকলাম| আমার উলটাপালটা অভ্যাসমতো আগে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে তারপর ঢুকলাম বড় আর ছোটটা ছাড়তে| সব শেষে যখন চারপাশে শৌচকরার জন্য শাওয়ার-পাইপ হাতড়াই , কিছুই মেলে না| কী আশ্চর্যমঃ একটু পিছনে আমাদের চিরপরিচিত প্রিয় বদনা রাখা , একটা ছোট বালতিও আছে| কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই জিনিষ দেখবো কল্পনা ও করিনি, কিন্তু দেখে বেশ প্রীতই হলাম| বদনাতে পানি ভরে ডানহাতে নিতেই ঝর-ঝর-বরিষণ’; ওমা , বদনা দেখি ফাটা! আমার ধারনায় ফাটা বদনা শুধু লাকসাম, ভৈরব এর মতো রেলষ্টেশনেই মেলে – আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেও যে মেলে এই ধারণা এই প্রথম পেলাম| প্যান্টের নিচের অংশ, মোজা আর জুতা পুরোটাই ভিজে গেলো| শাপ-শাপান্ত করতে করতে বেরোলাম| মুস্তাফিজ তো খুব খুশী আমার এই দুরবস্থায় , তখন মনে হয় বুঝে নাই তার কপালে কী অপেক্ষা করছে! (সেটা অন্য গল্প) পায়ে কুট কুট করছিলো তাই সেশানে গিয়েই ‘সরি’ বলে জুতা-মোজা খুলে ফেললাম| সেন্টারে সবাই আমাকে নগ্নপদ হাঁটতে দেখে তো অবাক| পরে ইন্দোনেশিয়ান কলিগদের হাজার বার বলেও বিশ্বাস করাতে পারি নাই যে বিমানবন্দরে বদনা ফাটা ছিলো আর শাওয়ার-পাইপ ছিলো না| তাড়াহুড়ায় একটা ছবি তুলে রাখার কথাও মনে ছিলো না| কয়েকজন তো পারলে আমার নামে ইন্দোনেশিয়ার সম্মানহানির মামলা করে আর কি| নেক্সট টাইম জাকার্তা গেলে যদি আমি ফাটা বদনার ছবি না তুলছি...| দরকার হলে বদনা ফাটিয়ে তারপর ছবি তুলে ওদের নাকের সামনে ঝুলিয়ে দেবো,হুমম|

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।