মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল! বিচিত্র মন
হৃদয়ের রজনীগন্ধা তুমি, তুমি নীল অপরাজিতা
বলেছিলে হেসে, "আমায় নিয়ে লেখনা একটি কবিতা"।
আমি কবি নই তবু, লিখব আজ কিছু পংক্তিমালা,
বাতায়ন খুলে সাজিয়ে দেব হাজার তারার মেলা।
শব্দের ঝড় উঠবে ফুঁসে নন্দিত কোন অরণ্যে,
কবিতার তার তুলবে সুর, তোমাকে স্পন্দিত করার জন্যে।
যদিও প্রথম প্রেম নয়,
তবুও শীতের কুয়াশায়,
তোমার শ্যামল ছবি রহস্যময়,
আমার বুকে তুলেছিল ক্ষুদ্ধ আলোড়ন,
সাগরের গর্জনের মত অশান্ত, উদ্দাম।
তোমার মনের কথা আমার দুহাত ছুঁয়ে যাওয়া,
কি জানতে চাও বল? কেন আমি এতই বেপরোয়া?
অমিত তৃষ্ণা আমার, তাই আমি হয়েছি অবাধ,
নিষেধের বেড়াজাল ভেঙ্গে, নিয়েছি প্রেমের সাধ।
দুরন্ত স্রোতের মত, দিগন্ত রেখার টানে,
ছুটে গিয়েছি নিঃসীম শূণ্যের পানে।
সুহাসীনি শীতের ডালিয়া অথবা সুর্যমূখী, বৈকালের টলটলে জল সেচে,
তোমার হৃদয়ের সকল উষ্ণতা আমাকে দিয়েছ তুমি অতি নিঃসংকোচে।
ময়ুরাক্ষী নদীটির কলহাস্য যেন গানের আসরে তুলেছে বীণার ঝংকার,
মানস সরোবরে সদ্য প্রস্ফুটিত নীলপদ্ম সেজে হয়েছে অলিক উপহার।
যদি জানতে চাও, এই কাহিনীর ইতি ডাকবে কবে ?
আমি বলব, শেষ নেই, এ গল্প অবিরাম চলেই যাবে।
সেই জমি, কাজ, রাজনীতি আর মেয়ে মানুষের গল্পের মত,
জাহাজের ডেকে, রেলের বগিতে, বাসের সিটে, মানুষের মুখে যত,
কাহিনী বদলায় না, গল্প বদলায় না, বদলায় শুধু পাত্র,
তুমি আমি তো মহাকালের স্রোতে দুটি ক্ষুদ্র বিন্দু মাত্র।
কি উদ্দেশ্য? দোহাই তোমার, এমন প্রশ্ন করনা।
উদ্দেশ্যহীনভাবে কি ভালোবাসা যায়না?
জানি তুমি আমার অন্তরঙ্গতায়,
আবেগঘন স্পর্শকাতরতায়,
বিন্দুমাত্রও কুন্ঠিত নও,
বরং তুমি বারংবার কেবল স্পন্দিতই হও।
তবুও অতটা অশান্ত হবনা,
দূরেই থাকি, অত কাছে যাবনা,
ভয় হয়, আমার উত্তপ্ত স্পর্শে ,
যদি তুমি ছাই হও শেষে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।