প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। বিচিত্র মানুষ আর বিচিত্র চাহিদা ।
দোকানে বাজারে পথেঘাটে কত কিছু বিক্রি হয়। মানুষ কেনাকাটা করে তার নিজের প্রয়োজনে। দোকানদার তার দোকানকে সাজিয়ে রাখে বিড়ি,সিগারেট,পান,মদ দিয়ে।
মানুষ জানে এগুলো নেশাদায়ক জিনিস। তবু মানুষ এগুলো খায়। বিড়ি সিগারেটে ফুসফুস ফুটো হয়ে যেতে পারে। হাঁফানি হতে পারে। হার্টের সমস্যা হতে পারে।
পান থেকে মাড়িতে ক্যানসার হতে পারে। মদে কিডনি,লিভার ক্ষতি হতে পারে। সমস্যা আছে জেনেও মানুষ সেখানেই ঢোকে। নেশাদায়ক জিনিস তৈরী করা বন্ধ করা যায় না ? কেন যাবে না ? বিচিত্র মানুষ। আর তাদের চাহিদা মেটাতে বিচিত্র জিনিস।
মানুষই ঠিক করবে কোন্টি মানুষের বেশী প্রয়োজন ?
একজন নতুন মোটর সাইকেল কিনে চালাতে না চালাতেই ধুলো লাগলে জল দিয়ে ধোয়া মোছা করে। অন্যজন মোটর সাইকেল চালিয়ে কাদা লাগলেও জল দিয়ে ধোয়া মোছা করে না। কিন্তু কেন ? এর উত্তর তারাই দিতে পারবে।
আবার একজন নতুন বই কিনে যত্ন করে গুছিয়ে রাখতে ভালোবাসে। বই খুলে পড়ে কিনা সন্দেহ আছে।
অন্যজন বই পড়ে ছিঁড়ে ফেলেছে । বই-এর প্রতি যত্ন নেই।
বিচিত্র মানুষ। বিচিত্র জিনিস। বিচিত্র ভাগ্য নয়।
কিছু মানুষ নেশায় ডুবে থাকে। যারা ডুবে থাকে তাদেরকে ভাসিয়ে রাখা কঠিন।
একটাই মুখ। যে মুখে ভালো কথা । আবার সেই মুখে খারাপ কথা।
যে হাতে সাহিত্য রচিত হয় আবার সেই হাতে খারাপ কথাও লেখা হয়।
বিচিত্র মানুষের বিচিত্র চাহিদা। চাহিদা বাড়বে,কমবে না।
যদি ভাবি ভোগই আসল,তাহলে জিনিসটি কি আমার না হলে ভোগ করা যায় না ? কেন যাবে না ? নিজের নেই বলে কি আমরা অন্যের মোটর সাইকেল চড়ি না ? নিজের নেই বলে কি আমরা অন্যের কাছ থেকে বই নিয়ে পড়ি না? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।