বাংলােদশ ঝুঁিকপূর্ণ রােষ্ট্রর তািলকায়
আজকের প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম- বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্রের তালিকায়। মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিবেদন- এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কথা হচ্ছে প্রতিবেদন বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন আসবে কেন? তাদের প্রতিবেদনকে এত গুরুত্বই বা দিতে হবে কেন? আমাদের মিডিয়া কেন তাদের সবকিছু এত হাইলাইট করবে? তারা তাদের মতো প্রতিবেদন দিয় যাক। আমরা তো আমাদের জায়গায় আছি। আমাদের কাজ আমরা ঠিকভাবে করে গেলে কে ঠেকাবে আমাদের উন্নতি?
(এম আর খান) দাদাভাইরা সব সময় মার্কিনিদের হাইলাইট করে এসেছে।
ভবিষ্যতেও করবে। সাবধান থাকতে হবে এসব দাদাভাইদের থেকে। তারা আসলে জাতিকে কি জানাতে ও বোঝাতে চায়। মিডিয়ার এসব দাদারা কোত্থেকে এতসব খবর পায়। সময় এসেছে এসব দাদাদের খবর নেয়ার।
একটা দেশের সর্বোচ্চ সবকিছুই দুর্বল। সময় পেলেই নছিহত করবে মার্কিনিরা। কেন? কারা এদের সুযোগ করে দেয়। কারা এদের দাওয়াত দেয় এদেশে এসে এদেশের আভ্যন্তরীন বিষয় সম্পর্কে মতামত দেয়ার অধিকার দেয় খুঁজে দেখতে হবে।
একবার ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআইবি) দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে ছেড়েছে।
এখন মার্কিনিরা সার্টিফিকেট দিলেন বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র। কেন? এর সবকিছুই দুর্বল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সামরিক বাহিনী, বিচার বিভাগ, পুলিশ, জনপ্রশাসন- সবই দুর্বল।
তাহলে এতকাল দেশ চলল কি করে? তারা বলতে চায় দেশ চলেনি। তারা অচল দেশকে চালু করে দিতে চায়।
অর্থাৎ তাদের কথামতো দেশ চালাও, তাদের তাবেদার হও তোমরা আর ঝুঁকিপূর্ণ থাকবে না। তোমরা সফল দেশে পরিণত হবে।
এসব তাবেদারি বন্ধ করতে হবে। মার্কিনিদের মতামতকে এত গুরুত্ব দেয়ারও কিছু নেই। নিজেদের ইরাকের ও আফগানিস্তানের ব্যর্থতা ঢাকতে আর সব দেশকে একটা চাপে রাখার কৌশলই হলো এই প্রতিবেদন।
আর দাদাভাইরা বুঝে হোক না বুঝে হোক মার্কিনিদের প্রতিবেদন প্রচার করে প্রকারান্তরে দেশের ক্ষতিই করছে। পরিশেষে বলবো বিদেশী বেনিয়াদের নেতিবাচক মন্তব্য আমাদের মিডিয়ায় গুরুত্ব সহকারে প্রচার না করাই বোধহয় দেশের উন্নতিতে সহায়তা করা হবে।
দাদারা (সাংবাদিক) মানুষের দুর্নীতির বিচারের জন্য অনেক মাতামাতি করলেন কিন্তু একটা দৃষ্টান্ত কি আছে যে একজন সাংবাদিকের দুর্নীতির বিচার হয়েছে? নিজের বিচার করুন পরে অন্যের বিচারের কথা লিখুন। উদ্দশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।