আল বিদা
শ্বাশতর জন্য কত ব্লগারকত কাজ করলেন। আমি খুব আত্নকেন্দ্রিক বলে কিছুই করতে পারি নাই। এই ক্ষোভ আমার আছে।
শ্বাশতর জন্য কত ব্লগারের কত পোস্ট আর কমেন্ট পড়লাম। আমি আমার এক পোস্টে টিশার্ট না পাওয়া আর বসুন্ধরায় যাওয়ার ভাড়া ২০/- নিয়ে ঠাট্টা করলাম।
তখন কত উচ্চমানসম্পন্ন ব্লগারের টিপ্পনী খেলাম। এই কাজে কতজন তার বন্ধু ত্যাগ করল। কতজন প্রিয় বান্ধবীর কাছে ভৎসনা পেল। কে টাকা দিল তা শুনে কতজনের চোখে পানি আসল! এই মুহুর্তে শ্বাশত কোথায়, কি করছে, কখন বর্ডার ক্রস করছে এমন তরতাজা আপডেটে ব্লগ ভরে যেত। অনেকটা এক সমুদ্র বমন করার মত।
আমি বলতে চাচ্ছি না যে এগুলো শো অফ ছিল। খাটি মনের মানুষও আছে এখানে। আমরা ব্যাক্তি উদ্যোগে এক হয়েছিলাম। কে রাজশাহীতে কার সাথে দেখা করল বা কোথায় গেল, কোন দুই ব্লগার ফিসফিস করে আলাপ করল তা প্রকাশ না করাই হয়ত ভাল।
কষ্ট লাগে নেমেসিস ও ওর মত অন্য ব্লগারদের জন্য।
মাসুম ভাই অন্যজনকে বলে একটা বড় এমাউন্ট এরেন্জ্ করলেন। আমারও কিছু ক্লায়েন্ট আছে তাদের বললে হয়ত কিছু দিতেন। কিন্তু আমার পক্ষে কোনকালেই তাদের বলা সম্ভব না। কিন্তু মাসুম ভাই বলেছেন। রাজশাহীর মামুন সাহেব কি লিখল, কৃতজ্ঞতায় কার নাম লিখল এগুলা খুব কি জরুরী ছিল আলোচনার? আমরাই তো কখনও কখনও অনেকের নাম বলতে ভুলে গেছি।
আবারও হয়ত এমন মানবিক আবেদনে আমরা এক হব। তখন এই কিছু ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে। আমি আমার কিছু পোস্টেও বলেছি আমি চ্যারিটি করতে বসুন্ধরায় যাইনি। এত মহৎপ্রান আমি না। গিয়েছিলাম আপনাদের সাথে দেখা করতে।
এই চ্যারিটির কাজ করতে কেউ বাধ্য না। আবার যে চ্যারিটি করবে তার নামে জয়োধ্বনি হবে এমন আশা করাও মনে হয় ঠিক না। এইটুকু হলেই হয়ত অনেক কথা কমে যেত।
আমি প্রতু নেমেসিস মেসবাহ ক্যামেরাম্যান উজ্বলসহ সবাইকে অনুরোধ করছি এই চ্যাপ্টারটা ভুলে আগের মত আবার অবিরাম ব্লগিংএ মেতে উঠতে।
(নিতান্তই মনের কিছু কথায় কেউ কষ্ট পেলে দুঃখিত।
)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।