আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শ্বাশত ও অন্যান্য

আল বিদা

(ব্লগের কতিপয় ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে) ১. তখন 3/4 এ পড়ি। শীতকালে ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য সবাই চাদা দিলাম। এই টাকা নিয়ে বড় ৪ ভাই নদীর ঐপাড়ের বাজারে গেল নেট কিনতে। নেট কর্ক কিনে আনার পর খেললাম কয়দিন। একদিন হটাৎ যে ৪ ভাই নেট কিনতে গিয়েছিলেন তারা ঝগড়া শুরু করলেন।

এবং কথায় কথায় বের হয়ে আসল নেট কেনার দূর্নীতির কথা। পরে আমরা নেট কেটে টুকরা টুকরা করে চাদার টাকা উসুল করলাম। ২. এসএসসি পরীক্ষার পর মাত্র ১০ জন মিলে বাড়বকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে যাব। আগেরদিন আমিসহ ৪ জন গেলাম বিরিয়ানীর প্যাকেটের অর্ডার দিতে। জনপ্রতি ৪০ টাকা মেরে দিলাম।

যে লীড দিয়েছিল তার ভয়ে সেদিন কিছু বলি নাই। পরে ক্যামেরার ফিল্মের টাকা দিয়ে পাপমোচন করলাম। ৩. শ্বাশতকে নিয়ে ব্লগারদের চেষ্টা অবশ্যই মহৎ। কিন্তু তা নিয়ে এত পোস্ট! কার হ্দয় কত মহৎ তা বোঝানর কত চেষ্টা। কেউ কেউ অভিযোগ করতেন কেন বসুন্ধরায় আসা সবাই টাকা দেয় না, কেন ফুড কোর্টের খাবারের বিল থেকে ১০০ টাকা দেয় না, কেন টিশার্টের দাম একটু কমল না।

আরেকটি কমপিটিশন দেখলাম কে কয় ঘন্টা বসুন্ধরায় ছিল, কে কি কি ক্ষতি স্বীকার করে এসেছে তা নিয়ে। আমিও চামে নিজের কৃতিত্ব জাহিরের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ভাবতে লজ্জা লাগছে। যেখানে আলগা দরদ বেশী সেখানে আসলে কোন দরদ থাকে না। সবাই যে এমন তা না।

যারা কষ্ট করে রাজশাহী গিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ। তবে এতজন না গিয়ে ভাড়ার টাকাটা এড করে দিলেও হত। তারপরও কৃতজ্ঞতা জানাই ব্লগারদের যারা নিজেদের ভুল বুঝাবুঝির পরও কিছু টাকা ছেলেটার হাতে দিয়েছেন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.