আমার নিক পদ্মলোচন করে দেওয়া হোক
শ্বাশত সত্য এখন বল্গ জগতে বেশ পরিচিত নাম । মানুষ মানুষের জন্য , এই কথাটাকে মূলমন্ত্র মনে করে যেই কাজ ব্লগ জগৎ শুরু করেছিলো তার সমাপ্তি কাদা ছোড়াছুড়ি , ভাঙ্গন এবং মনোমালিন্যতে । আমরা আরো একবার প্রমাণ করলাম ১০ জন বাঙ্গালী একসাথে হওয়া মানেই ১০ রকম মতভেদ । যার সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল সুন্দরভাবে মানবতার জয়গান করে তার সমাপ্তি হল নিজেরা আলাদা হয়ে ।
আমার জন্য ব্যাপারটা বেশ কষ্টকর ।
আপনাদের ব্লগার নেমেসিস আমার মামা লাগেন । তার সাথে আমার সম্পর্ক বহুদিনের তার উৎসাহেই আমার ব্লগিং শুরু । আমি আর নেমেসিস মামা কাজ করছি অনেক দিল। সিডরের সময় আমরা ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে ৬ লক্ষ টাকার উপর কালেক্ট করে পাঠাই সাথে কাপড় এবং শুকনো খাবারতো ছিলই । আমি ব্যাক্তিগত ভাবে উনাকে ছিনি দেখে উনাকে আমার এত ভালো লাগে নাকি মানুষটাই ভালো জানি না ।
আমি সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত অনেক দিন যাবত । নেমেসিস মামা এটা জানেন । আর তাই হয়ত শ্বাশতের ব্যাপারে ডেকেছিলেন । হ্যা , বসুন্ধরায় উনার ডাকে ব্যাক্তিগতভাবে পরিচিত জেই ৩ জন গিয়েছিল আমি তাদের একজন এবং বাকি দুইজন আমার খুবি ঘনিষ্ঠ বন্ধু । অনেকেই অলরেডি আমাকে চিনেন ” ভাইগনা ” হিসাবে ।
যেদিন আমাকে নেমেসিস মামা কল করে ডাকেন ঐদিন আমি আর বন্ধু মিশু বিকেলে আলোচনা করছিলান নিজেদের পকেটমানি থেকে কিছু সেভ করে চ্যারিটি কিছু কাজ করব । রাতে নেমেসিস মামার কল ।
কাইল বসুন্ধরা আইতে পারবিরে বেটা?
হ মামা পারুম । কেন মুভি দেখাইবেন?
নাহ । ভিক্ষা করন লাগব ।
মানে কি?
মানে হিসাবে যা বললেন তা হল শ্বাশতের ঘটনা। শুনলাম, বুঝলাম, বললাম আছি। মামা আরো জানালেন সাথে পারলে ফ্রেন্ডদের কাউরে নিতে । বাকি দুইজন যারা গিয়েছিল ওরা হচ্ছে মিশু আর নায়েফ । ওদের কল দেওয়ার সাথে সাথে রাজি ।
কারন ঘরের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ানোর ব্যামোটা ওদের ও আছে । মজার কথা হচ্ছে অনলাইন কোন গ্রুপের সাথে এটাই আমার প্রথম কাজ।
শুক্রবার ৩ টা থেকে ৮ টা টাকা উঠল ২৫০০০ এর মত । শনিবার ৬টা ঠেকে ৮ টা টাকা উঠল ১৫০০০ এর মত। বৃষ্টিতে ভিজে পরা সময়টা নিজের গলা ফাটিয়ে চিৎকারের ফল ঐটাকা।
ঐখানে দেখেছি রন্জু আংকেলকে, য়াযাদ আংকেলকে, দীপু মামা , টুটুল মামা , মিশু ভাই , রাহা মামা প্রমুখকে নিজের কাজ ফেলে ঐখানে সময় দিতে । শুনেছি আমারবল্গ এর করে দেওয়া অনলাইন প্রসেসিং এর কথা। সত্যি বলতে কি অনলাইন কমিউনিটি থেকে যে এমন কাজ হয় ভাবতে ভালই লাগছিলো। ভাবছিলাম অনলাইন প্রেমের মত এখন অনলাইনে মানবতার সেবাও করা যায় ।
সপ্তাহ খানেক পরের কথা রাজশাহীর মামুন সাহেবের পোষ্ট ।
এই শুরু হল কাদা ছোড়াছুড়ি। জঘন্য অভিহ্ঙতা । শিক্ষিত মানুষজন যে এমন করতে পারে না দেখলে বিশাস করতাম না । সবচে’ অবাক লাগলো কি কারনে যেনো সব তীরের লক্ষ্য ছিল নেমেসিস । ১০ জন যেখান কাজ করছে সেখানে একজন কি করে সব কিছুর জন্য দায়ী হয় এখনো আমি বুঝিনি ।
একসময় বলা হল নেমেসিস দালাল , নেমেসিস অরগানাইজার হিসাবে বাজে , নেমেসিস এই নেমেসিস ঐ। অথচ যে কোন ১জন ইউজার নেমেসিসকে বাবা মা তুলে গালি দেওয়ার পরে ব্যাপারটা আমার খুব গায়ে লাগে । আমি উল্টা গালি দিবো ঠিক করলে নেমেসিস মামা আমাকে মানা করে । কয়জন করবে এমনটা? আমি হলেও করতাম বলে মনে হয় না । পরোক্ষভাবে নেমেসিসকে বিভিন্ন কাজের জন্য দায়ী করা হলেও তিনি আমাকে বলেন , কনসার্টের ব্যাপারে কথা বলে রাখতে ।
সেই অনুযায়ী আমি অর্থহীনের সুমন ভাই ও আর্টসেলের সিজান ভাইয়ের সাথে কথা বলি।
কিন্তু আজকে নেমেসিসের ঐ চিঠিটা পড়ে মনে হচ্ছে আমি আজকে কাজ করব কালকেতো আমাকে বলবে দালাল , চামচা , অযোগ্য, স্বার্থপর কিংবা উজ্জলের মত কেউ এসএমএস করে বলবে আমি ছোটলোক।
আমি তা চাইনা । আমি নেমেসিসের মত না যে কেউ গালি দিলে সহ্য করব কষ্ট পেয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলব , ” মামারে নিজের লোকেরাই বুঝলো না কষ্ট এইটাই। ”
মনটা খারাপ লাগলো তাই এতো কিছু লেখলাম কি লেখলাম জানি না ।
সত্য বলতে কি সবচয়ে কষ্ট পেয়েছি “দলবদ্ধ মানুষ দেখতে ভালো লাগে । কিন্তু নিজের জন্য দল খুঁজে পাই না । “ এই লাইনটা দেখে । মামা আমি আছি আপনার সাথে । পথের যতটুকু যাবেন আমাকে পাবেন ।
যদি শুনতে হয় আমি দালাল শুনবো , যদি শুনতে হয় আমি ছোটলোক শুনব । তবু আমি হাটতে চাই আপনার সাথে । কাজ করতে চাই পর্দার আড়ালে থেকে , মানুষের জন্য । আমি চাই না আপনার মত একজন লোক হারিয়ে যাক অভিমানে, দূরে সরে যাক মানবতার সেবা থেকে ।
সুশান্তদাকে দেওয়া ব্লগার নেমেসিসের চিঠি
লেখটি আরো প্রকাশিত হয়েছে আমার ব্লগে।
পড়ার জন্য ক্লিক করুন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।