আমার বিরুদ্ধে আমার আত্মীয়-স্বজনদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ হলো, আমি আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যাই না ।
অভিযোগটা অনেকটা সত্যি । আম্মুও এ নিয়ে অনেক কথা শোনাতে বাদ রাখেন না ।
এবার বাসায় গিয়ে শুনলাম, ছোটখালা মনি আমার উপর ভীষণ মন খারাপ করে আছেন...উনি নাকি আম্মুকে অনেক কথা শুনিয়েছেন, আমি নাকি বড়লোক হয়ে গেছি ! তাই উনাদের বাড়ি যাই না...হ্যান-ত্যান ।
ডিসিশন নিলাম ছোটখালার বাসায় যাবো ।
ছোটখালার বাসায় গিয়ে খালাতো ভাইয়ের কাছে শুনলাম, পাশের বাড়ির এক ছেলে নাকি পাশের বাড়ির ভাড়াটিয়া এক মহিলার সাথে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খাইছে!
রাতে গ্রাম্য সালিশে তাদের বিচার হবে ।
যেহেতু অনেকদিন পর খালা বাড়ি গিয়েছি তাই সেদিন খালা বাড়িতে থাকতে হলো ।
পরদিন পাশের বাড়ির খালা-মামীদের পরকীয়া বিষয়ক আলোচনায় ঘুম ভাঙল আমার ।
ঘুম ভাঙলেও লেপ মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছি বিছানায় ।
পাশের বাড়ির এক মামী বলছে, কি যুগ যে আসল স্বামী থাকতেও বউ অন্য পুরুষের সাথে ফষ্টি-নষ্টি করে !!
মনে হয় ওই মহিলার স্বামীর যৌ* ক্ষমতা নাই! পাশে থেকে আরেক মামী ফোড়ন কাটল!
এমন সময় আমার ছোটখালা রান্নাঘর থেকে ছুটে এসে মামীদেরকে বলছে, কি সব বাজে বিষয় নিয়ে কথা বলছেন, পাশের রুমে বিদ্যুৎ আছে, ও শুনতে পাবে তো !
ছোটখালার এই কথায় পাশের বাড়ির মামীর সাহস আরো দ্বিগুন বেড়ে গেল!
উনি জোরে জোরে বলতে শুরু করলেন, শোনে শুনুক!
ভাগ্নেদের তো শোনাই উচিত, তাদের যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে এখনই চিকিৎসা করুক!!
না হলে, পরে দেখা যাবে ভাতিজাদের বউ অন্য কারো সাথে ফষ্টি-নষ্টি করবে!
এই কথা শোনার পর লেপ ভালো করে মাথার উপর দিয়ে এমন ভাবে ঘাপটি মেরে থাকলাম যে, আমি গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন...বাইরে কি হইছে তার কিছুই জানিনা !!!
আর মনে মনে বললাম ধরনী দ্বিধা হও ঢুইক্যা যাই!!
কোন শালা, কই আকাম করছে তার ঝড় আমার উপর দিয়াও গেল শেষ পর্যন্ত!!!
বিঃদ্রঃ আর যাই হোক, ওই মামী কিন্তু ভুল কিছু বলে নাই ।
শুনতে খারাপ লাগলেও উনার কথাটা কিন্তু দশ কথার এক কথা ছিল ।
যা আসলেই অনেক গুরুত্বপূর্ন । ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।