আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসার মাইনক্যা চিপায়

i lσvє тσ єиjσy life тσ тнє fυllєรт--- lσvє тσ b iи cσмραиy σf мy fяиzz--- -বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও... চিত্কার দিয়ে তমা আচমকা চেয়ার ছেড়ে ওঠে গ্যাংম্যান স্টাইলে লাফ শুরু করে দিল। রহস্য বুঝে ওঠার আগেই তমার ভার্সিটি পড়ুয়া বড় বোন মমতা রুমে ঢুকে তমাকে জড়িয়ে ধরল। আমাকে সিনেমার ভিলেন ভেবে বললেন, এক্ষুনি বেরিয়ে যাও ঘর থেকে। -তুই স্যারকে বকছিস কেন? আগে আমাকে বাঁচা। -কি হয়েছে তোর? -ফ্লো... ফ্লো... তাকিয়ে দেখি বেশ আলসে ভঙ্গিতে একটা তেলাপোকা ফ্লোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! তমাকে ছেড়ে এক লাফে মমতা কয়েক হাত দূরে সরে চেয়ারের উপর উঠে বলল, তেলাপোকা দেখে এমনভাবে কেউ চিত্কার দেয়? কী ভয়টা না পেয়েছিলাম! -লেকচার দিবি না।

আগে তেলাপোকা মার। -পারব না, ভয় করে। দুই বোনের কাণ্ড দেখে তেলাপোকাটা মেরে কাউকে কিছু বলার সুগোগ না দিয়ে বেরিয়ে এলাম। বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। তমার বোনের জায়গায় বাবা কিংবা ভাই হলে নিশ্চিত কি হয়েছে তা যাচাই না করেই ধোলাই শুরু করে দিত।

জীবনে আর কোনো দিন কোনো মেয়েকে না পড়ানোর প্রতিজ্ঞা করে বাসায় ফিরছিলাম। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় পাশে দাঁড়াল সুন্দরী একটি মেয়ে। উত্তরা টু যাত্রাবাড়ী লাইনের গাড়ি এসে দাঁড়াতেই একটা লোক মাথা বের করে ওয়াকওয়াক করে বমি করে দিল! আমি কোনোমতে সরে গেলেও মেয়েটা সরতে পারল না। পায়ে বমি মাখামাখি হয়ে একাকার। মেয়েটা পেছনে সরে এসে আমার বাহু খামচি দিয়ে ধরে বলল, আমি নাফিসা।

এখন কি করব? -আমি কি জানি? -অনেক কান্না পাচ্ছে। প্লিজ, কিছু একটা কর। না হয় দম বন্ধ হয়ে মরে যাব। -আশপাশে এত মানুষ থাকতে আমাকে ধরে না মরলে হয় না? -না। কারণ, তুমি নিজে সরে গেছো।

আমাকে সরাওনি। -সরাতে হলে হাত ধরে টান দিতে হতো। তখন তো আবার হাত ধরার অপরাধে যা ইচ্ছা তা অপবাদ দিতে। -বেশি ফকফক করবা না। দেখছ না আশপাশের মানুষ কেমন করে মজা নিচ্ছে।

যাও পানি নিয়ে আস। -এই আর নতুন কি? বাঙালির স্বভাবই অন্যের বিপদে মজা নেয়া। টাকা না দিলে পানি কি চুরি করে আনব? -এক বোতল পানি কেনার টাকা নাই? -বাংলা সিনেমার নায়ক হওয়ার কোনো শখ নাই যে পকেটে যা আছে তা দিয়ে পানি কিনে পরে বাসায় হেঁটে যাব। টাকা বের করে দিতেই পানি এনে বললাম, এবার ধুয়ে নাও। -পারব না।

তুমি ধুয়ে দাও। -মামার বাড়ির আবদার? -শ্বশুর বাড়ির আবদার। লক্ষ্য করলাম, বেশ কয়েকটা টোকাই পিচ্চি আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়েছে। সবার মুখেই বাঁদরামি হাসি। একজন বলল, ভাইজান ‘জানের জান’ ছবিটা দেখছেন? -কেন? তুই কি নায়ক ছিলি? -ধুর কি যে কন না।

আপনাগো দেইখ্যা সিনেমার কথা মনে পইড়া গেছে। নায়িকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে গোবরে পা দিয়া ফালাইয়া কান্দন শুরু করে। নায়ক পানি এনে নায়িকার পা ধুইয়া দিতে দিতে গানে চইল্যা গেছে সোজা। গান গাইতে যাবেন না? -মাইর খাওয়ার আগে ভাগবি? -আগে কন ১০ টাকা দিবেন? দিলে আফার পা পরিষ্কার করে দেব। হায়রে দেশ আমার! যে পিচ্চিটার স্কুল থেকে ফিরে এখন মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করার কথা, সে পিচ্চিটা মাত্র ১০ টাকার জন্য আরেকজনের পায়ের আবর্জনা পরিষ্কার করতে চাইছে! পকেটে থাকা ২০ টাকা পিচ্চিটাকে দিয়ে নিজেই নাফিসার পা ধুয়ে দিলাম।

-কি হলো? দাঁড়িয়ে আছ কেন? -তো কি করব? -বাসায় পৌঁছে দেবে না? -চল। -এত সহজে রাজি হয়ে গেলে যে? -পৌঁছে না দেয়া পর্যন্ত মুক্তি পাব না তাই। কাকতলীয়ভাবে দু’জনের এলাকা পাশাপাশি। সিএনজিতে উঠে বসতেই বলল, আমি জানি তোমার গার্লফ্রেন্ড নাই। -কীভাবে জানলে? -হাবলু ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড থাকে না।

মোবাইলটা বের কর তো। মোবাইল বের করে দিতেই নাফিসা ওর মোবাইলে মিসকল দিয়ে নাম্বার সেভ করে ফেরত দিল। কিছু বলতে যাব, তার আগেই ট্রাফিক পুলিশ সিএনজি থামাল। সিএনজির কাগজপত্র সব ঠিক আছে দেখে পঞ্চাশ টাকা হাতাতে না পেরে সিএনজিতে ঘনিষ্ঠ (?) হয়ে বসে থাকার অপবাদ দিল। অথচ নাফিসা আর আমার দূরত্ব এক হাতের মতো।

রাস্তার পাশে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো পুলিশ অফিসারের কাছে যেতেই প্রশ্ন করল, সঙ্গে কে? ঝামেলা এড়াতে বললাম, আমার বউ। ততক্ষণে নাফিসা সিএনজি থেকে নেমে এসেছে। পুলিশ অফিসারকে বলল, বাপি তুমি! সারছে! পুলিশের মেয়ে! কোনো দিকে না তাকিয়ে খিচ্চা দৌড়। চলতি গাড়িতে লাফ দিয়ে উঠে দিলাম মোবাইল বন্ধ করে। পরদিন মোড়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি, এমন সময় তিনটা ছেলে এসে দাঁড়াল।

একজন নাফিসার ছোট ভাই নাহিদ। আমার টিশার্টের কলার চেপে ধরে বলল, জানিস আমি কে? ভার্সিটির ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। টিউশনি করে ভাত খাওয়া দুই পয়সার পাবলিক আমার বোনকে বউ বলে পরিচয় দিস? আর একবার নাফিসার সঙ্গে দেখা গেলে এসিডের ড্রামে ঢুকায়া জ্বালায়া ফেলুম। যে দেশে ভার্সিটির শিক্ষককে মারলে শাস্তি হয় না, সে দেশে আমার মতো টিউশনি ‘স্যার’- কে মারলে কোনো শালাই বাঁচাতে আসবে না, তাই চুপ করে রইলাম। হুমকি-ধমকি দিয়ে নাহিদ চলে যেতেই একটু পর নাফিসা হাজির।

সব শুনে বলল, অতকিছু বুঝি না। এখন থেকে বউ বলে ডাকবা সব সময়। না হয় কইলাম, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলব। চিরকুটে লিখে যাব, তুমি দায়ী। তোমার জেল হবে।

অন্য কোনো মেয়ে তোমাকে দখল করতে পারবে না। হিঃহিঃ... দারুণ আইডিয়া। তাই না? পুলিশ শ্বশুর, ছাত্রলীগ শালা! ভালোবাসার মাইনক্যা চিপায় ফেলে বলে দারুণ আইডিয়া! হায়রে ভালোবাসা! — ............... ............... ....... -বাঁচাও বাঁচাও বাঁচাও... চিত্কার দিয়ে তমা আচমকা চেয়ার ছেড়ে ওঠে গ্যাংম্যান স্টাইলে লাফ শুরু করে দিল। রহস্য বুঝে ওঠার আগেই তমার ভার্সিটি পড়ুয়া বড় বোন মমতা রুমে ঢুকে তমাকে জড়িয়ে ধরল। আমাকে সিনেমার ভিলেন ভেবে বললেন, এক্ষুনি বেরিয়ে যাও ঘর থেকে।

-তুই স্যারকে বকছিস কেন? আগে আমাকে বাঁচা। -কি হয়েছে তোর? -ফ্লো... ফ্লো... তাকিয়ে দেখি বেশ আলসে ভঙ্গিতে একটা তেলাপোকা ফ্লোরে ঘুরে বেড়াচ্ছে! তমাকে ছেড়ে এক লাফে মমতা কয়েক হাত দূরে সরে চেয়ারের উপর উঠে বলল, তেলাপোকা দেখে এমনভাবে কেউ চিত্কার দেয়? কী ভয়টা না পেয়েছিলাম! -লেকচার দিবি না। আগে তেলাপোকা মার। -পারব না, ভয় করে। দুই বোনের কাণ্ড দেখে তেলাপোকাটা মেরে কাউকে কিছু বলার সুগোগ না দিয়ে বেরিয়ে এলাম।

বড় বাঁচা বেঁচে গেছি। তমার বোনের জায়গায় বাবা কিংবা ভাই হলে নিশ্চিত কি হয়েছে তা যাচাই না করেই ধোলাই শুরু করে দিত। জীবনে আর কোনো দিন কোনো মেয়েকে না পড়ানোর প্রতিজ্ঞা করে বাসায় ফিরছিলাম। বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় পাশে দাঁড়াল সুন্দরী একটি মেয়ে। উত্তরা টু যাত্রাবাড়ী লাইনের গাড়ি এসে দাঁড়াতেই একটা লোক মাথা বের করে ওয়াকওয়াক করে বমি করে দিল! আমি কোনোমতে সরে গেলেও মেয়েটা সরতে পারল না।

পায়ে বমি মাখামাখি হয়ে একাকার। মেয়েটা পেছনে সরে এসে আমার বাহু খামচি দিয়ে ধরে বলল, আমি নাফিসা। এখন কি করব? -আমি কি জানি? -অনেক কান্না পাচ্ছে। প্লিজ, কিছু একটা কর। না হয় দম বন্ধ হয়ে মরে যাব।

-আশপাশে এত মানুষ থাকতে আমাকে ধরে না মরলে হয় না? -না। কারণ, তুমি নিজে সরে গেছো। আমাকে সরাওনি। -সরাতে হলে হাত ধরে টান দিতে হতো। তখন তো আবার হাত ধরার অপরাধে যা ইচ্ছা তা অপবাদ দিতে।

-বেশি ফকফক করবা না। দেখছ না আশপাশের মানুষ কেমন করে মজা নিচ্ছে। যাও পানি নিয়ে আস। -এই আর নতুন কি? বাঙালির স্বভাবই অন্যের বিপদে মজা নেয়া। টাকা না দিলে পানি কি চুরি করে আনব? -এক বোতল পানি কেনার টাকা নাই? -বাংলা সিনেমার নায়ক হওয়ার কোনো শখ নাই যে পকেটে যা আছে তা দিয়ে পানি কিনে পরে বাসায় হেঁটে যাব।

টাকা বের করে দিতেই পানি এনে বললাম, এবার ধুয়ে নাও। -পারব না। তুমি ধুয়ে দাও। -মামার বাড়ির আবদার? -শ্বশুর বাড়ির আবদার। লক্ষ্য করলাম, বেশ কয়েকটা টোকাই পিচ্চি আমাদের ঘিরে দাঁড়িয়েছে।

সবার মুখেই বাঁদরামি হাসি। একজন বলল, ভাইজান ‘জানের জান’ ছবিটা দেখছেন? -কেন? তুই কি নায়ক ছিলি? -ধুর কি যে কন না। আপনাগো দেইখ্যা সিনেমার কথা মনে পইড়া গেছে। নায়িকা রাস্তা দিয়ে হাঁটতে গিয়ে গোবরে পা দিয়া ফালাইয়া কান্দন শুরু করে। নায়ক পানি এনে নায়িকার পা ধুইয়া দিতে দিতে গানে চইল্যা গেছে সোজা।

গান গাইতে যাবেন না? -মাইর খাওয়ার আগে ভাগবি? -আগে কন ১০ টাকা দিবেন? দিলে আফার পা পরিষ্কার করে দেব। হায়রে দেশ আমার! যে পিচ্চিটার স্কুল থেকে ফিরে এখন মাঠে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা করার কথা, সে পিচ্চিটা মাত্র ১০ টাকার জন্য আরেকজনের পায়ের আবর্জনা পরিষ্কার করতে চাইছে! পকেটে থাকা ২০ টাকা পিচ্চিটাকে দিয়ে নিজেই নাফিসার পা ধুয়ে দিলাম। -কি হলো? দাঁড়িয়ে আছ কেন? -তো কি করব? -বাসায় পৌঁছে দেবে না? -চল। -এত সহজে রাজি হয়ে গেলে যে? -পৌঁছে না দেয়া পর্যন্ত মুক্তি পাব না তাই। কাকতলীয়ভাবে দু’জনের এলাকা পাশাপাশি।

সিএনজিতে উঠে বসতেই বলল, আমি জানি তোমার গার্লফ্রেন্ড নাই। -কীভাবে জানলে? -হাবলু ছেলেদের গার্লফ্রেন্ড থাকে না। মোবাইলটা বের কর তো। মোবাইল বের করে দিতেই নাফিসা ওর মোবাইলে মিসকল দিয়ে নাম্বার সেভ করে ফেরত দিল। কিছু বলতে যাব, তার আগেই ট্রাফিক পুলিশ সিএনজি থামাল।

সিএনজির কাগজপত্র সব ঠিক আছে দেখে পঞ্চাশ টাকা হাতাতে না পেরে সিএনজিতে ঘনিষ্ঠ (?) হয়ে বসে থাকার অপবাদ দিল। অথচ নাফিসা আর আমার দূরত্ব এক হাতের মতো। রাস্তার পাশে গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়ানো পুলিশ অফিসারের কাছে যেতেই প্রশ্ন করল, সঙ্গে কে? ঝামেলা এড়াতে বললাম, আমার বউ। ততক্ষণে নাফিসা সিএনজি থেকে নেমে এসেছে। পুলিশ অফিসারকে বলল, বাপি তুমি! সারছে! পুলিশের মেয়ে! কোনো দিকে না তাকিয়ে খিচ্চা দৌড়।

চলতি গাড়িতে লাফ দিয়ে উঠে দিলাম মোবাইল বন্ধ করে। পরদিন মোড়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছি, এমন সময় তিনটা ছেলে এসে দাঁড়াল। একজন নাফিসার ছোট ভাই নাহিদ। আমার টিশার্টের কলার চেপে ধরে বলল, জানিস আমি কে? ভার্সিটির ছাত্রলীগের সেক্রেটারি। টিউশনি করে ভাত খাওয়া দুই পয়সার পাবলিক আমার বোনকে বউ বলে পরিচয় দিস? আর একবার নাফিসার সঙ্গে দেখা গেলে এসিডের ড্রামে ঢুকায়া জ্বালায়া ফেলুম।

যে দেশে ভার্সিটির শিক্ষককে মারলে শাস্তি হয় না, সে দেশে আমার মতো টিউশনি ‘স্যার’- কে মারলে কোনো শালাই বাঁচাতে আসবে না, তাই চুপ করে রইলাম। হুমকি-ধমকি দিয়ে নাহিদ চলে যেতেই একটু পর নাফিসা হাজির। সব শুনে বলল, অতকিছু বুঝি না। এখন থেকে বউ বলে ডাকবা সব সময়। না হয় কইলাম, ফ্যানের সঙ্গে ঝুলব।

চিরকুটে লিখে যাব, তুমি দায়ী। তোমার জেল হবে। অন্য কোনো মেয়ে তোমাকে দখল করতে পারবে না। হিঃহিঃ... দারুণ আইডিয়া। তাই না? পুলিশ শ্বশুর, ছাত্রলীগ শালা! ভালোবাসার মাইনক্যা চিপায় ফেলে বলে দারুণ আইডিয়া! হায়রে ভালোবাসা! — ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.