আমি হিমেল, আমার ব্লগে আপনাকেস্বাগতম।
ছোট ভাই মাসুদ, আমাদের না বলেই চলে এসেছিল এয়ারপোর্ট থেকে বাহিরের গেইটে ভাগ্যিস সেই গেইটেই আব্বু ছিল আর ওদিকে আমরা তো খুজে খুজে হয়রান। পরে আব্বুকে ভিতর থেকে কল দিয়ে জানতে পারি মাসুদ আব্বুর কাছে।
পরিশেষে আমরা বের হলাম । তখন ইতালিতে একটু একটু শীত ছিল আমরা তো দেশ থেকে গেন্জি পরেই এসেছিলাম।
শীত অনুভব হচ্ছিল আমাদের কাছে । তখন আমার মন বলছিল এ কোথায় এলাম আমার সোনার বাংলা ছেড়ে । আব্বু দাড়িয়ে এক ইতালীয়ানের সাথে কথা বলতেছিল আমিতো তাদের কথা শুনে অবাক এ আবার কেমন কথা এর তো আগা মাথা কিছুই বুঝিনা মনে মনে ভাবতে ছিলাম কিভাবে আব্বু এ ভাষা শিখলো আর কিভাবে আমি এ ভাষা শিখবো।
পরে যখন গাড়িতে উঠি বসলাম যখন আব্বুকে হাজারো প্রশ্নের জালে আবদ্ধ করলাম।
আব্বু একে একে সব উত্তর দিতে লাগলো আর বলছিল সবে মাত্র এসছো আস্তে আস্তে সব জানতে পারবে।
পাহাড় কাটা পথ অনেক খারাপ লাগছিল যখন আন্ডারগ্রাউন্ড দিয়ে গাড়ি চলছিল। আবার মাঝে মাঝে গাড়ি থেকে দুরের পাহাড় দেখতে অনেক ভাল ও লেগে ছিল। ঘন্টা খানিক পর আমরা বাসায় এসে পৌছালাম। বাসার নিচে কয়েকজন ইতালীয়ান বৃদ্ধা মহিলারা গল্প করছিল তারা তো আমাদের দেখে অনেক খুশি আব্বুকে বলছিল ওরা কার সাথে তোর দেশ থেকে এসেছে কিভাবে আসলো এসব । তাদের মধ্যে একজন একটু একটু ইংরেজী জানতো সে আমার সাথে কথা বলেছিল সেটাই আমার প্রথম কোন ইতালীয়ানদের সাথে কথা বলা।
দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে একটা ঘুম দিলাম মনের মত করে। বিকালে আব্বু আমাদের নিয়ে ঘুরতে বের হলেন তখন দেখি কিছু ছেলেরা পার্কে ক্রিকেট খেলতেছিল । আমরা হাটতে হাটতে সেদিকে গেলাম আব্বু সবার সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন।
তারপরের দিন আমি একাএকাই চলে গিয়েছিলাম ওদের সাথে খেলতে .... (চলবে)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।