যে কথা যায় না বলা
সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল
নামঃ উজ্জ্বল
বয়সঃ ৩১ বৎসর
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ এমবিবিএস
পেশাগত অবস্থানঃ ঢাকার একটি ক্লিনিকে মেডিক্যাল অফিসার হিসাবে কর্মরত
পরিবারের বিবরনঃ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার। গ্রামের বাড়ীতে মা বাবা থাকেন । একমাত্র বোনের বিয়ে হয়ে গেছে।
উজ্জ্বলের কাহিনী
মেডিক্যালে ২য় বর্ষে পড়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক মেয়ের সাথে পরিচয় এবং ভালবাসা। মা বাবা তাদের পছন্দমতো পাত্রীর সাথে বিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু উজ্জ্বল বেঁকে বসায় ঐ মেয়েটির সাথেই তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের প্রথম তিনমাস ভালই কাটে। এরপর আস্তে আস্তে স্ত্রীর আসল চেহারা প্রকাশিত হতে থাকে। উজ্জ্বল জানতে পারে তার উপার্জন নিয়ে তার স্ত্রী সন্তুষ্ট নয়। কথায় কথায় স্ত্রীর নিকট খোঁটা খেতে হয়। বাসাভাড়া, বিল, সংসারের খরচের সাথে স্ত্রীর মাসিক শপিং এর খরচ যোগাতে হিমশিম খায় উজ্জ্বল।
একসময় স্ত্রীর হস্তক্ষেপে গ্রামে বাবা-মায়ের কাছে টাকা পাঠানো বন্ধ হয়ে যায়। "আমার বান্ধবীর স্বামীতো এইরকম", "তাদের এইটা আছে", "তাদের ঐটা আছে", "আমাদের এইটা নেই", "তোমার বোনের জন্যতো শাড়ী কিনতে পারো আমার বোনের জন্য কিনতে গেলেই যতো সমস্যা", "তোমাকে দিয়ে কিছু হবে না", "তুমি একটা অপদার্থ", "তোমাকে বিয়ে করে ভুল করেছি" ইত্যাদি কমন ডায়লগ বাংলা ছবি থেকে উজ্জ্বলের সংসারে ক্রমশ সংক্রমিত হয়। বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরের স্ত্রীর মধ্যে এতোখানি পার্থক্য দেখে সীমাহীন হতাশা ও অপরাধবোধে জর্জরিত হয় উজ্জ্বল। রাত্রে ডিউটি শেষে ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরে স্ত্রীর কটাক্ষ যাতে শুনতে না হয় সেজন্য দেরী করে বাসায় ফেরা শুরু করে।
ক্রমশঃ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।