অনেক দিন থেকেই হিসাব টা নিয়ে ভাবছিলাম । আমি আমার আম জ্ঞান আর অনুভুতি দিয়ে যা বুঝি, তাই সবার সাথে শেয়ার করছি ।
ভারতের সাথে আমাদের বানিজ্য বৈষম্য ৩০০ কোটি ডলার, এবং তা ভারতের পক্ষে । আমরা নাকি প্রতি বছর ভারতের ৩৫০ কোটি ডলারের পন্য কিনি, আর ভারত কেনে আমাদের মাত্র ৫০ কোটি ডলারের পন্য ।
এই বিরাট ফারাকের কারন টা কি ! প্রধানত আমরা যথেচ্ছা ভারতিয় পন্য কিনি ।
মানে দরকারে অদরকারে নিজেদের দেশের পন্য না কিনে ভারতিয় পন্য কিনতে ধিধা করি না । কিন্তু ভারতিয়রা তা করে না । ওরা যথেষ্ট হিসাব করে বাংলাদেশি পন্য কেনে । বিশেষ ক'টি পন্য ছাড়া আমাদের পন্যের মান ভারতের থেকে কোন অংশেই কম নয় । উদাহরন হিসেবে টয়লেট্রিজ এবং ফার্মাসিউটিক্যালের কথা বলা যায় ।
অনেকেই বলবেন ভারতের জিনিষ না কিনলে আমাদের চলবে না । কিন্তু সব পন্যের বেলায় কথাটা খাটে না । মনে করুন মাত্র ১ বছর যদি আমরা ভারতের পেয়াজ না কিনে দেশি পেয়াজ কিনি । তাহলে ১ বছর আমাদের বেশি দামে পেয়াজ কিনতে হবে ঠিকই কিন্তু পরের বছর গুলোতে দেশি পেয়াজে বাজার সয়লাব হয়ে যাবে । ২ বছর যদি ভারতের গরু আমদানি বন্ধ রাখা হয়, তবে দেশে গড়ে উঠবে হাজার হাজার গড়ুর খামার, কর্মসংস্থান হবে হাজার হাজার ।
ভারত-পাকিস্তানের সালোয়ার কামিজের মত ড্রেসগুলো যদি আমরা না কিনি, তাহলে দেশিয় বুটিক শিল্প প্রান পাবে ।
আমরা ভারতিয় টিভি দেখে আর ভারতের ল্যাহেঙ্গা ধরনের ড্রেস, ওষুধ, সাধারন খাবার ইত্যাদি নিত্যপ্রয়জনিয় নয় এমন অনেক পন্য কিনি, যা ভারতিয়রা করে না । আমার জ্ঞান বলে আমরা ভারতের কাছ থেকে যে পন্য সারাবছর কিনি, তার অন্তত ৩ ভাগের ১ ভাগ আমরা অপ্রয়জনে কিনি । অর্থাত ১০০ কোটি ডলার আমরা মিছেমিছি ভারতকে দিচ্ছি প্রতি বছর । আর সে টাকায়ই ভারত ফেলানিদের গুলি করার রাইফেল, বুলেট, বিএসএফ জওয়ানের বেতন-পোষাক সব কিছুর ব্যায় বহন করে ।
যে ঘৃনা ভারত আমার ভেতরে ঢুকিয়ে দিলো, আমি পারত পক্ষে আর ভারতের কিছু কিনবো না ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।