আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমাদের কি এখনই সজাগ হওয়া উচিত নয়?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

আজকের একটি দৈনিকের একটি খবর পড়ে আবারো চমকে উঠলাম। অনেকদিন ভুলে ছিলাম। মৃত্যু ভয় আবারো ভর করেছে। ভুমিকম্প।

হ্যাঁ বাংলাদেশের ভুমিকম্প। খবরটি অনেকটা এমন ছিল "ভয়াবহ ভুমিকম্পের পদধ্বনি, রাজধানীতে প্রাণহানী হবে ৫০ লাখ" আজ থেকে ১১১ বছর আগে বাংলাদেশে ভুমিকম্প হয়েছিল ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন। রিখাটার স্কেলে সেটার মাত্রা ছিল প্রায় ৮ এর বেশী। সেই সময় এতে মারা গিয়েছিল প্রায় ১৫৪২ জন মানুষ। আর এখন এটাকে জনসংখ্যার সাথে আনুপাতিক হারে বাড়ালে কত হবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতি ১০০ বছর পর এই ভুখন্ডে একটি বড় আকারের ভুমিকম্প আঘাত হানার আশংকা রয়েছে।

সেই মোতাবেক সেটার সময় হয়ে গেছে মনে হয়। প্রতিদিন পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। সব প্রাকৃতিক দুর্যোগই স্পষ্ট হয়ে উঠছে আঘাত হানার জন্য। তারা মনে করেন, রিখটার স্কেলে ৬ এর বেশী ভুমিকম্প আঘাত হানলে ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ বাড়ী ভেঙ্গে পড়বে। আর প্রাণহানি ঘটবে প্রায় ৫০ লাখ মানুষের বেশী।

সোয়া কোটি মানুষের মধ্যেই ৫০ লাখ নাই হয়ে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, টুইন টাওয়ারের বিদ্ধস্ত হওয়ার দৃশ্যের চেয়ে এটার ভয়াবহতার আরো বেশী হবে। ভুমিকম্প পরবর্তী গ্যাস, বিদ্যুত জনিত বিস্ফোরন এ সবচেয়ে বেশী মানুষ মারা যাবে, যতটা না মারা যাবে দালানকোঠায় চাপা পড়ে। যাই হোক আমার আলোচ্য বিষয় অন্যজায়গায়, আমরা এই ব্যাপারটি নিয়ে পুরোপুরি অজ্ঞতার মধ্যে আছি। আমরা জানিনা, কোথায়, কখন কি হলে কি করতে হবে।

আর আমাদের শহরের অবকাঠামোগত যা সমস্যা তাতে আমরা ওগুলো জেনেও কিছুই করতে পারবো না। আর সরকারের দিক থেকে এটার সচেতনতার বা মানুষকে বাড়ীঘর সঠিক ভাবে নির্মানে বাধ্য করার কোন চাহিদা নেই। এখন ব্যাপারটি এমন দাঁড়িয়েছে যে, "ফি সাবিলিল্লাহ......."। যেসব পুরানো স্থাপনা (পুরান ঢাকা) একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে, সে গুলোকে সরকার এখনই ভেঙ্গে ফেলে সেখানে বসবাসরত মানুষের পূর্নবাসিত করতে পারেন অন্যজায়গায়। এটা সরকারের দায়িত্বর মধ্যেই পড়ে।

যেসব বিল্ডিং এখন নতুন ভাবে তৈরী হচ্ছে বা হবে সেসব স্থাপনার প্ল্যানে ভুমিকম্প রোধের বিষয়টিকে কিভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সেটার দিকে কড়া নজর প্রয়োজনবোধে খরবদারী করতে পারেন সরকার। যেহেতু আগে থেকে সেরকম ভাবে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি তাই এখন আজই থেকে সরকারের উচিত এই বিষয়গুলোর দিকে নজর দেয়া তাতে আমি মনে করি হয়ত কিছু ক্ষতি কম হবে। আমাদের সরকারী পদক্ষেপ গুলো শুধু কয়েক সদস্যের কমিটি গঠন করা পর্যন্তই থেকে যায়। একটি সুষ্ঠ নীতিমালা করতঃ সরকারের সাথে সাথে দেশের সুশীল ও বুদ্ধিজীবি মানুষের এই বিষয়ে নজর দেয়া উচিত। তাতেও যদি কিছুটা প্রাণহানী কমে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.