আগামীকাল ২০শে ফেব্রুয়ারী খুলনায় হেফাজতে ইসলামী এর বিভাগীয় মহাসমাবেশ। মহাসমাবেশ নিয়ে হেফাজতের সংবাদ সম্মেলনে নেতাদের বক্তব্য হল
সমাবেশে পাঁচ লক্ষ লোক সমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। খুলনার হেফাজতের কমিটি থাকলেও মুল ভূমিকা পালন করছেন হেফাজতের যুগ্নমহাসচিব মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন ও তার পরিবার।
#লাল গোলাকার চিহ্নিত মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন।
হেফাজতের এই গুরুত্বপূর্ণ নেতার কিছু বিষয় জেনে নেই
খুলনা মহানগরীর দোলখোলা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের গ্রামের বাড়ী খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায়।
মসজিদের ইমাম হলেও শুধু শুক্রবার ছাড়া বাকি সবদিন তাকে খুলনায় পাওয়া যায়না,তাকে পাওয়া যায় রাজধানী ঢাকায়। তিনি শুধুমাত্র হেফাজতের যুগ্ন-মহাসচিব নন,তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশেরও যুগ্ন-মহাসচিব। বিএনপির নেতৃত্বাধীন গত চার দলীয় জোট সরকার ও বর্তমান ১৮দলীয় জোটের শরীক দল এই খেলাফত মজলিশ। গত চার দলীয় জোটের সময় হাওয়া ভবনের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন। শুধু জোট সরকারের সময়ই নয়,১/১১ প্রেক্ষাপটে কিছু ক্ষমতাবান সেনাকর্মকর্তার আশীর্বাদের কারণে সেনাবাহিনী সমর্থিত সরকারের সময়ও তিনি ছিলেন অনেক ক্ষমতাবান।
প্রশ্ন উঠতে পারে মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন এত গুরুত্বপূর্ণ কেন এবং তার নামটা জনগণের কাছে পরিচিত না হলেও শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের বা হেফাজতের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ?কারণ হল
মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনের ছোট ভাই হল সারাদেশে আতংক সৃষ্টিকারী হরকাতুল জিহাদের (হুজি) আমীর শেখ ফরিদ।
শেখ ফরিদ। তাকে র্যাব গ্রেফতার করেছিল ২০১১ সালের ২৭ এপ্রিল
শেখ ফরিদকে বাংলাদেশের সবথেকে বড় বোমা হামলাগুলার জন্য অন্যতম অভিযুক্ত হিসাবে ধরা হয়। র্যাব গ্রেফতারের পর তার জবানবন্দী
আমিনীর হরতালে হুজি জঙ্গীরা তৎপর ছিল ॥ জিজ্ঞাসাবাদে শেখ ফরিদ
হুজিকে সহযোগিতা দিচ্ছে কয়েকটি ইসলামী দল ॥ জিজ্ঞাসাবাদে শেখ ফরিদ
ওসামা লাদেনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন হুজি নেতা শেখ ফরিদ
আফগান ও আরাকান যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন হুজি আমির শেখ ফরিদ
বাংলাদেশে সব জঙ্গি হামলায় সম্পৃক্ত ছিলেন শেখ ফরিদ
বেশীরভাগ সময় লোকচক্ষুর আড়ালে জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সমস্ত কাজ সমন্বয় করতেন শেখ ফরিদ। আর প্রকাশ্যে থেকে খেলাফত মজলিশের ক্ষমতাশালী নেতা হিসেবে শেখ ফরিদের সাংগঠনিক কাজ তদারকি করেন মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন।
মূলত শেখ ফরিদের নেটওয়ার্ক ও জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্যদের সাথে রাখতে হেফাজতের মুল কমিটির যুগ্ন-মহাসচিব করা হয় মাওলানা সাখাওয়াত হোসেনকে।
এখন সাধারণ মানুষ ও প্রশাসনের তীক্ষ্ণ নজরদারি করতে হবে খুলনায় হেফাজতের এই মহাসমাবেশে। কারণ হরকাতুল জিহাদের বোমা বিশেষজ্ঞরা যেন কোন ক্রমেই কোন মহাসমাবেশে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে তার দায় অন্যের ঘাড়ে চাপাতে না পারে। যেমনটি হয়েছিল ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা,রমনা বটমূলে বোমা হামলা সহ অসংখ্য ঘটনার পর। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।