হরতাল, জ্বালাও পোড়াও, টক শো’ এর তীব্র বাক্যবাণে এমনিতেই অনেকটা বেকায়দায় আছে সরকার। নতুন করে এতে যোগ হয়েছে কতিপয় পুলিশের ভূমিকা। হঠাৎ করেই কারণে- অকারনে সাংবাদিকদের লাঞ্চিত করছে পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৩ টি ঘটনা প্রায় একই রকম। রাজনীতি বোদ্ধাদের মতে, ক্ষমতার শেষ সময়ে পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যের আচরনই রহস্যজনক।
মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকার পল্টনে এক বাস ড্রাইভারকে মারধর করছিল এক আনসার সদস্য। বিষয়টি প্রতিবাদ করেন বাংলা নিউজ ২৪ এর চীপ ফটো করেসপন্ডেট নাজমুল হাসান। এবার বাস চালককে ছেড়ে তার উপর আছড়ে পড়ে ওই আনসার সদস্য। ডাক দেয় পুলিশ সদস্যদের। পুলিশ- আনসার মিলে নাজমুলকে পুলিশ বক্সে নিয়ে আটকে রাখে।
এ সময় এক পুলিশ সদস্য ‘এই সাংবাদিককে মারতে হবে‘ বলে অন্য পুলিশদের ডাকে। পরে অন্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ছাড়া পায় নাজমুল।
একই দিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পিরোজপুর এলাকায় হরতালের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে এএসআই হেদায়েতের দ্বারা লাঞ্চিত হন বাংলাদেশ সময়ের জেলা প্রতিনিধি মো. আবুল বাশার।
ওইদিন রাত সোয়া ৮ টায় ফতুল্লা থানার শিবু মার্কেট এলাকায় সংবাদ সংগ্রহ করতে যাওয়ায় সাংবাদিকদের এক হাত দেখে নেয়ার হুমকি দেন ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, বিরোধী দলের আন্দোলনকে উসকে দেয় সাংবাদিকরা।
তার দাবি, পুলিশকে তথ্য দিতে হবে সাংবাদিকদের। নয়তো তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। এই পুলিশ অফিসার দীর্ঘ দিন ধরে নারায়ণগঞ্জে আছেন। শোনা যায়, তার শশুর নাকি সরকার দলীয় এমপি। তাই নানা বিতর্কের মধ্যেও তিনি এ জেলাতেই থেকে যান।
যদিও সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিএনপির সাথে আতাঁত করার অভিযোগ উঠেছে।
এ তিনটি ঘটনা ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় ঘটলেও প্রায় একই রকম। যেখানে সরকার প্রধান স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তিকে পূণরায় ক্ষমতায় আনতে সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাইছেন। সেখানে পুলিশ কেন সাংবাদিকদের বিরোধী ভাবছে তা বুঝতে পারছে না সচেতন মহল। অনেকের মতে, সাংবাদিকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে কাজ করছে কিছু পুলিশ সদস্য।
যাতে করে সাংবাদিকরা সরকার বিরোধী হয় আর এতে ফল যাবে বিরোধী দলের পক্ষে।
এই লিংকে নিউজ : Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।