সকল প্রশংসা মডারেটরদের
চিঠি রেখে আবার ফটোগ্রাফটি নিয়ে ড়াশু দেখতে লাগলো। খাম্বার মতো দুই হাত দিয়ে চিকনচাকন শীর্ণ একটি কাঠাল গাছ ধরে ময়ুরী দন্ডায়মান। ভোম্বা মহিষের মতো চক্ষুযুগল হাস্যপূর্ণ। বিছানায় শুয়ে শুয়ে ড়াশু ভাবতে লাগলো,ইহার সাথে আলাপ হলে কি মজারই না হবে!
ভ্রু কুচকিয়ে ড়াশু ভাবলো ,-লিখেছে শনিবার সন্ধ্যায় যেতে। সে আরও একদিন দেরী।
শনিবার না লিখে শুক্রবার লিখলো না কেন? যাইহোক সময় যখন পাওয়া গেছে তখন ভালোভাবে সেজেগুজে যেতে হবে। পাত্রী তাকে দেখামাত্র যেন পটে যায়।
শনিবার দিন দুপুরের খাবার খেয়ে ড়াশু ভিমাকে বললো,-"হতচ্ছাড়া দুইমাস ধরে তো গোসলও করিস না,গা থেকে কেলে ভূতের মতো গন্ধ বেরুচ্ছে । ভালো করে গোসল করে তৈরী হয়ে নে আজ একটু বাইরে ঘুরতে যাবো,মাথা ভালোভাবে ইংলিশ উকুননাশক শ্যাম্পু দিয়ে ধুবি আর ঝামা ইট দিয়ে শরীরখান ঘষামাজা করবি,"। এই বলে ড়াশু তার মাথায় অবশিষ্ট গুটিকয়েক চুলের পরির্চযা করে ব্যস্ত হলো।
গত ঈদে বলিউড বাজার থেকে কেনা ক্যাটক্যাটে শিয়াল রংগের পান্জাবী বের করে পরিধান করলো। শরীরে টিব্বত কোম্পানীর আতর আর পায়ে ১ নং পাঁচা স্পন্জের স্যান্ডেল পরে রেডী হয়ে ভিমার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। ভিমা আসামাত্র তাকে নিয়ে একটি মিশুক ভাড়া করে গুলিস্তান অভিমুখে যাত্রা করলো।
মিশুকে বসে ড়াশু ভাবতে লাগলো পাত্রীর সাথে দেখা হলে তাকে কি প্রকারে সম্বোধন করবে। ইংরেজী ধরনে একপ্রকার কোর্টশীপ হয়,তা সে অবগত ছিলো মাত্র;কিন্তু কি উপায়ে করতে হয় ড়াশুর জানা ছিলনা।
ইংরেজী উপন্যাসও সে কখনও পাঠ করে নাই। তবে "লাল হীরকী কথা","লাইলী-মজনু","গুল-ই বকাওলি",ইত্যাদি তার পড়া ছিলো। ভাবলো এসব বইয়ে বর্ণিত কায়দা অনুসরন করলে মনে হয় ভুল হবেনা। তবে প্রথমদিন একটু সামলে চলতে হবে। এরুপ কিছু বলা যাবে না যাতে পাত্রী বিরক্ত হয়।
দুচারদিন মেলামেশার পর,একদিন নির্জনে হাত ধরে 'পিয়ারী' বলে ডাকলে মনে হয় সে রাগ করবে না।
ড়াশু মনে মনে এসব চিন্তা ও ভবিষ্যত সুখ কল্পনা করতে করতে গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে এসে পৌছালো।
মিশুক থেকে নেমে ড়াশু এদিক ওদিক তাকাতে লাগলো এমন সময় নীল রংগের স্যুট পরা কৃশকায়,লম্বা দুটি কান,চোখগুলি কোটরে ঢুকানো এক যুবক তার দিকে এগিয়ে এসে বললো,"আপনার নাম কি ড়াশেদ?
হ্যা। আপনার নাম?
চিকনমিয়া। আমি পাত্রীর বড় ভাই।
আমি আপনাকে নিতে এসেছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।