ইচ্ছেমতো লেখার স্বাধীন খাতা....
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের জন্য আদিবাসীরা দায়ী নয় এবং তারা এ ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতও নয়। তবু বিশ্বব্যাপী আদিবাসীরাই হচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের প্রথম শিকার। কারণ প্রকৃতির ওপর নির্ভর করেই তাদের বেচে থাকতে হয়।
গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের পরিচিত প্রকৃতি বদলে যাচ্ছে। বংশ পরম্পরায় প্রকৃতি থেকে বিভিন্ন পাঠ নিয়ে তারা জীবিকা নির্বাহ করে।
বদলে যাওয়া আবহাওয়ায় খাদ্য সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় পড়েছে আদিবাসীরা। মধ্য আমেরিকার নিকারাগুয়ার মিসকিটো আদিবাসীরা গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের কারণে এখন এ ধরনেরই সমস্যায় বিপর্যস্ত এক গোষ্ঠী।
মিসকিটোরা হচ্ছে নিকারাগুয়ার ৮৫ হাজার আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বড় অংশ। স্বাভাবিক আবহাওয়ায় এখন তাদের এলাকায় সম্পূর্ণ তিন সপ্তাহ বৃষ্টি হওয়ার কথা। মিসকিটো গ্রামগুলো রিও কোকো নদীর ধারে অবস্থিত।
আকাবাকা সাপের মতো প্রায় ৪৭০ মাইল লম্বা নদীটি নিকারাগুয়ার আদিবাসী এলাকা দিয়ে বয়ে গেছে। সম্পূর্ণ এলাকাটি এখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেরও বেশি তাপমাত্রায় সিদ্ধ হচ্ছে।
কয়েক দশক ধরে স্প্যানিশ সেটলার বা বসবাসকারী, স্যানডিনিসটা গেরিলা ও ইউএস সাহায্যপুষ্ট কন্ট্রা গেরিলাদের হাত থেকে রেইন ফরেস্ট এলাকাটি রক্ষা করতে গিয়ে তাদের পরিবেশ পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলার জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ ও জ্ঞান কোনোটিই আর অবশিষ্ট নেই।
রিও কোকো নদীটির পাশের সবচেয়ে পুরনো মিসকিটো গোষ্ঠীর নেতা নিকানোর রিজো বলেন, আমরা অত্যন্ত মর্যাদাবান মানুষ। আপনার কি মনে হয় আমরা সাহায্যের জন্য হাত পাতবো অথবা বিদেশি এজেন্সির হ্যান্ডআউটের ওপর নির্ভর করবো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।