রাজনীতি ও অর্থনীতি এই দুই সাপ পরস্পর পরস্পরকে লেজের দিক থেকে অনবরত খেয়ে যাচ্ছে
তিন চাকা বা রিক্সাচালকদের গানের প্রতিযোগিতার অডিশন রাউন্ডে একজনকে পাওয়া গেলো যাকে দেখে মোটেই মনে হয় না যে তিনি রিক্সাচালান। দিব্যি মধ্যবিত্ত চেহারা। গান গায় সব এন্ড্রু কিশোরের। এবং এতটাই ভাল গায় যে ইয়েস কার্ড পেয়ে গেলেন তিনি সহজেই।
আমাদের মনের প্রশ্ন আর যায় না।
এই লোকটি কি আসলেই রিক্সাচালায়। আমি, কৌশিকদা, সৃজন আর আনন উত্তর খুঁজতে বের হলাম। সমাধান দিল এক রিক্সাচালক রাজা। নিজের হাত দেখিয়ে বললো এই হচ্ছে রিক্সাওয়ালাদের হাত। শক্ত ও সমান।
কিছুটা লালচে।
কিছুক্ষণ পরে দেখি আমাগো প্রতুও অডিশনের জন্য লাইনে।
আমরা সবাই মঞ্চে অপক্ষায়, প্রতুর গান শুনবো। প্রতু আসলো। কিন্তু প্রতুরে দেখেই সন্দেহ হলো বিচারকদের।
বললো হাত দেখান। প্রতু কইলো কেন?
বিচারক-আপনার হাত দেখে বুঝবো আপনি রিক্সাচালক কীনা।
কিন্তু প্রতু আর দেখায় না। বার বার বলা হলেও প্রতু হাত লুকিয়েই রাখে। আমরাও উৎসুক প্রতুর হাত দেখার জন্য।
কৌশিকদা অনুরোধ করে, আমি করি, সৃজন, আনন কেউ বাদ যায় না। কিন্তু প্রতু হাত দেখায় না।
এইবার আমরা জোর করলাম। বিচারকরাও আবার বললো। ক্যামেরা রেডি, শেষ পর্যন্ত প্রতু সম্মিলিত দাবীর মুখে হার বের করে দেখালো।
আমরা সবাই দেখলাম। এ এক অনন্য হাত। এই হাত রিক্সাওয়ালার হাত না। এই হাত বিবাহিত মানুষের হাত না। এই হাত অবিবাহিত প্রতুর।
এই হাতে কোনো রেখাই নেই। বোঝা যায় এক সময় হয়তো ছিল, কিন্তু এখন আর নেই। হাতের রেখা কোথায় গেছে, কোথায় মিশে গেছে কারো ইচ্ছা করলে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।